প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০২৩, ০৭:২২ পিএম
মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কারাদণ্ডিত নেত্রী অং সা সু চিকে পাঁচটি মামলা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। মিয়ানমারের স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সু কিকে পাঁচটি মামলা থেকে দায়মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমগুলো আজ মঙ্গলবার জানিয়েছে, গৌতম বৌদ্ধের ধর্ম প্রচারে লক্ষ্যে প্রতিবছর পালিত এক ধর্মীয় উৎসবের কারণে দেশের প্রায় ৭ হাজার কারাবন্দীকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে। সেই দায়মুক্তির অংশ হিসেবে সু চিকেও পাঁচটি মামলা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। মিয়ানমারের রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচারমাধ্যম এক প্রতিবেদনে বলেছে, ‘মিয়ানমারের স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান দাও অং সান সু চিকে মাফ করে দিয়েছেন, যাকে বিভিন্ন মামলায় সংশ্লিষ্ট আদালত দণ্ডাদেশ দিয়েছিল।’
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে সংঘটিত অভ্যুত্থানের পর থেকেই বন্দী জীবনযাপন করছেন অং সা সু চি। তাঁকে দুর্নীতি, অবৈধ ওয়াকি টকি রাখা এবং করোনাভাইরাস বিধিনিষেধ লঙ্ঘনসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৩৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫টি মামলায় দণ্ড মাফ করা হলেও এখনো সু কির বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা রয়েছে।
‘তাঁর কিছু সাজা ক্ষমা করা হলেও তাঁকে পুরোপুরি মুক্তি দেওয়া হয়নি। তাঁকে এখনো ১৪টি মামলার মুখোমুখি হতে হবে। ১৯টি মামলার মধ্যে মাত্র পাঁচটি মামলায় তাঁকে ক্ষমা করা হয়েছে’—বলে জানিয়েছে একটি আইনি সূত্র।
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সংঘটিত অভ্যুত্থানে বন্দী হওয়ার পর থেকে সু চিকে মাত্র একবার জনসমক্ষে দেখা গেছে। তাও আবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে। সেদিন জান্তাবাহিনী নির্মিত রাজধানী নেপিডোর একটি আদালত কক্ষ থেকে সু চির তোলা একটি ছবি প্রচার করেছিল রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমগুলো। সর্বশেষ সু চিকে গত সপ্তাহে মিয়ানমারের একটি কারাগার থেকে সরিয়ে আবারও নিজ বাড়িতে গৃহবন্দী করা হয়েছে।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন