• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সম্ভাব্য প্রধানের তালিকা চুড়ান্ত পাকিস্তানে

প্রকাশিত: জুলাই ২৯, ২০২৩, ০৭:২৭ পিএম

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সম্ভাব্য প্রধানের তালিকা চুড়ান্ত পাকিস্তানে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

পাকিস্তানে বর্তমানে ক্ষমতাসীন পিডিএম পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) জোট সরকার ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার পর নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, সে বিষয়ক সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রস্তুতের কাজ শেষ হয়েছে।

শনিবার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনালকে দেওয়া এক সক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘পাকিস্তান মুসলিম লীগ- নওয়াজ (পিএমএলএন), পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ও পিডিএম জোটের অন্যান্য শরিকদের সঙ্গে আলোচনা করে এই ৫ জনের নাম চুড়ান্ত করা হয়েছে।’

সংক্ষিপ্ত সেই তালিকায় কাদের নাম রয়েছে— সে সম্পর্কে সাক্ষাৎকারে ভেঙে কিছু বলেননি মন্ত্রী। তবে তিনি জানিয়েছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধানের সংক্ষিপ্ত সেই তালিকায় পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দারের নাম নেই। তার নিজের নাম রয়েছে কিনা— দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল জানতে চাইলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, তার নামও নেই।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ জুলাই রাজধানী ইসলামাবাদে এক অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ তার সরকারের মেয়াদের শেষ দিন জানিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, আগামী ১৪ আগস্ট নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে তার নেতৃত্বাধনি পিডিএম জোট সরকার।

তিনি এই ঘোষণা দেওয়ার পর পাকিস্তানে গুঞ্জন ওঠে, বর্তমান সরকারের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার হতে যাচ্ছেন পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান। এ গুঞ্জনের পক্ষে যুক্তি ছিল— আইএমএফের সঙ্গে ঋণ সংক্রান্ত আলোচনার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ইসহাক দারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী করা হবে।

এতদিনে এই গুঞ্জন নিয়ে ইসহাক দার বা তার দল পিএমএলএন থেকে কোনো বক্তব্য আসেনি। ইসহাক দার অবশ্য এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, দলের যে কোনো সিদ্ধান্ত তিনি মেনে নেবেন।

শনিবারের সাক্ষাৎকারে সেই গুঞ্জনে কার্যত পানি ঢেলে দিয়ে খাজা আসিফ বলেন, ‘ইসহাককে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী করা নিয়ে পিএমএলএনের ফোরামে কোনো আলোচনা হয়নি। তিনি নিজেও এ ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেননি।’

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান কাজ নির্বাচন আয়োজন এবং নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পরিচালনা। পাকিস্তানের সংবিধান অনুসারে, এই সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর তিন মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন হতে হবে।

দেশটির নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আগামী অক্টোবরের শেষ বা নভেম্বরের শুরুর দিকে পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন হবে।

 

সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

 

বিএস/

আর্কাইভ