• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মালদ্বীপের ৫৯তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

প্রকাশিত: জুলাই ২৮, ২০২৩, ০২:২৫ এএম

মালদ্বীপের ৫৯তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

৫৯তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেছে মালদ্বীপ। ১৯৬৫ সালের ২৬ জুলাই ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে দেশটি। দিনটিকে স্মরণ করতে তিন দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র ও অবিভাভকরা যাতে প্রিয়জনের সাথে বাড়িতে দিনটি উদযাপন করতে পারে সেজন্য এই ছুটির ঘোষণা। সরকার দিবসটি উপলক্ষ্যে জাঁকজমকপূর্ণ বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। দেশটির ন্যাশনাল ক্যাডেট কর্পস এবং রঙিন পোশাকে স্কুলের শিশুদের নৃত্য পরিবেশনায় অনুষ্ঠানের আকর্ষণের মধ্যে রয়েছে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও পতাকা উত্তোলনসহ রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করা।

স্বাধীনতা দিবসে দেশটির রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ এবং ফার্স্ট লেডি ফাজনা আহমেদ বুধবার (২৬ জুলাই) মালদ্বীপের জাতীয় স্টেডিয়ামে ৫৯তম স্বাধীনতা দিবসের স্মরণে সামরিক প্রদর্শন, শোভাযাত্রা এবং উৎসবে অংশ নিয়েছিলেন। সহ-সভাপতি ফয়সাল নাসিম এবং তার সহধর্মিণী আইশাথ শামসাদাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও ফার্স্ট লেডিকে অভিবাদন জানানো হয়। এরপর বিভিন্ন স্কুল ব্যান্ড এবং মালদ্বীপ ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স (এমএনডিএফ) মিলিটারি ব্যান্ডের সদস্যদের সম্মিলিত অর্কেস্ট্রা জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে। রাষ্ট্রপতি এবং ফার্স্ট লেডি তারপরে সশস্ত্র বাহিনী গার্ড এবং মালদ্বীপের স্কুলগুলোর একটি যৌথ স্কোয়াডের একটি শোভাযাত্রা পর্যবেক্ষণ করেন, যা রাষ্ট্রপতির স্ট্যান্ড অতিক্রম করে এবং রাষ্ট্রপতিকে আরেকটি স্যালুট দিয়ে সম্মান জানায়।

স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে মালদ্বীপ জাতীয় ক্যাডেট কর্পস (এমএনসিসি) দ্বারা সম্মানিত কুচকাওয়াজ দেখানো হয়েছে, মালে থেকে ১৪টি স্কুলের অংশগ্রহণে। উৎসবের মধ্যে (এমএনডিএফ), হুলহুমালে জুনিয়র এবং সিনিয়র গ্রুপ, মালেতে হেনভেইরু এবং মাফান্নু ওয়ার্ডের দুটি দল এবং কাফু অ্যাটলের কাশিধু দ্বীপ, হা আলিফু অ্যাটলের ভাশাফারু দ্বীপ এবং মিমু অ্যাটলের ধীগগারু দ্বীপের সাংস্কৃতিক ও সংগীত পরিবেশনাও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো মালদ্বীপও ব্রিটিশ সাম্রাজ্য দ্বারা শাসিত ছিল। ঐতিহাসিকভাবে, ভারত মহাসাগরের প্রধান সামুদ্রিক পথে অবস্থানের কারণে মালদ্বীপের একটি কৌশলগত গুরুত্ব ছিল। যার ফলে, ১৮৮৭ সালের পরবর্তীতে মালদ্বীপ কোনো আন্তর্জাতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হলে প্রথমে ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে। মালদ্বীপকে সহযোগিতা করার জন্য ব্রিটিশরা বিনিময়ে দেশকে রক্ষা করার প্রস্তাব দেয়।

মালদ্বীপ ১৯৬৫ সালের ২৬ জুলাই মাসে ব্রিটিশদের কাছ থেকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতা অর্জনের দুই মাসের মধ্যে মালদ্বীপ জাতিসংঘের সদস্য হিসেবে ভর্তি হয়। ১৯৬৫ সালের ১২ অক্টোবর তাদের জাতীয় পতাকা জাতিসংঘের সদর দপ্তরে উত্তোলন করা হয়। ১৯৯০-এর দশকের গোড়ার দিকে প্রজাতন্ত্রটির সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল দেশের মাছ ধরা এবং পর্যটনে সীমিত সম্পদের ভিত্তিতে দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং আধুনিকীকরণের প্রয়োজনীয়তাপূর্ণ করে বর্তমানে দেশটি বিশ্বের অন্যতম পর্যটন দেশ হিসেবে সফলতা অর্জনের দ্বারপ্রান্তে। দেশটিতে প্রতিদিন গড়ে ৪ হাজার ৮শত পর্যটক ভ্রমণে আসে।

আর্কাইভ