প্রকাশিত: জুলাই ২৮, ২০২৩, ০১:২৭ এএম
ভারতকে যুদ্ধের হুংকার ছাড়তে নিষেধ করল পাকিস্তান। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের মন্তব্য দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও সুস্থিতির পক্ষে বিপজ্জনক বলে অভিহিত করেছে পাকিস্তান। ভারতের সতর্ক ও সাবধান হওয়া প্রয়োজন।
গতকাল বুধবার ছিল ২৪তম ‘কারগিল দিবস’। এ উপলক্ষে লাদাখের দ্রাস শহরে কারগিল যুদ্ধ স্মৃতিসৌধে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এক অনুষ্ঠানে বলেন, দেশের একতা, অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার সঙ্গে বিন্দুমাত্র আপস করা হবে না। তিনি বলেন, দেশের শত্রুদের নিকেশ করতে সেনাবাহিনীকে ‘ফ্রি হ্যান্ড’ দেওয়া হয়েছে।
রাজনাথ বলেন, ‘দেশের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষায় আমরা সব করতে পারি। সে জন্য যদি নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করতে হয়, আমরা তা–ও করতে প্রস্তুত। আমাদের প্ররোচিত করা হলে অথবা আমরা প্রয়োজন বোধ করলে নিয়ন্ত্রণরেখা মানব না। পেরিয়ে যাব।’
এই হুংকারের পাশাপাশি রাজনাথ সিং ভারতের শান্তিপ্রিয় চরিত্রেরও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ভারত শান্তিপ্রিয় দেশ। শতাব্দীপ্রাচীন মূল্যবোধে বিশ্বাসী। আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্তু দেশের স্বার্থ রক্ষার প্রশ্নে সীমান্ত পেরোতে দ্বিধান্বিত হবে না।
রাজনাথ সিং এই প্রসঙ্গে মনে করিয়ে দেন কারগিল যুদ্ধ ভারতের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পাকিস্তান সেই সময় ভারতকে পেছন থেকে ছুরি মেরেছিল, যখন ভারত আলাপ–আলোচনার মাধ্যমে পাকিস্তানের সঙ্গে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছিল।
রাজনাথ সিংয়ের এই মন্তব্যের বিরোধিতা করে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল ইসলামাবাদ থেকে এই বিবৃতি প্রকাশ করে। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য ‘অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন’ জানিয়ে তাতে বলা হয়, এর আগেও ভারতের রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও উচ্চপদস্থ সামরিক কর্তারা আজাদ কাশ্মীর ও গিলগিট-বালটিস্তান নিয়ে এ ধরনের মন্তব্য করেছেন। এ রকম উগ্র জাতীয়তাবাদী বিবৃতি বন্ধ হওয়া দরকার। তাদের মনে রাখা উচিত, পাকিস্তান যেকোনো ধরনের আগ্রাসন রোখার ক্ষমতা রাখে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতের রাজনীতিতে কথায় কথায় পাকিস্তানকে টেনে আনা হয়। উগ্র জাতীয়তাবাদের বীজ বপন করে ভোটের রাজনীতিতে লাভবান হতে চায় তারা। এসব বন্ধ হওয়া দরকার।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ঐতিহাসিকভাবে, আইনগতভাবে এবং নৈতিক দিক থেকে সব রকমভাবেই জম্মু-কাশ্মীর আন্তর্জাতিক স্বীকৃত বিবাদিত ও বিতর্কিত এলাকা। তার মীমাংসা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব অনুযায়ীই হতে হবে। যুদ্ধের হুংকার না দিয়ে ভারতের উচিত ওই প্রস্তাব রূপায়ণে মনোযোগী হওয়া।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন