প্রকাশিত: জুলাই ২৭, ২০২৩, ০৯:১৭ পিএম
ইউক্রেনীয় বাহিনী দেশটির দক্ষিণের জাপোরিঝঝিয়া অঞ্চলে রুশ বাহিনীর অবস্থানে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে। রুশ বাহিনীর প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করে তারা কিছুটা সামনে অগ্রসর হতে সক্ষম হয়েছে। তবে এখনো ব্যাপক লড়াই চলছে।
গতকাল বুধবার জাপোরিঝঝিয়ায় রাশিয়ার নিয়োগ করা প্রশাসনের কর্মকর্তা ভ্লাদিমির রোগোভ এ তথ্য জানিয়েছেন। বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে তিনি লেখেন, জাপোরিঝঝিয়ার ওরেখোভ এলাকায় চালানো হামলায় শত্রুপক্ষ অন্তত ১০০টি সাঁজোয়া যান ব্যবহার করে।
রোগোভ বলেন, ‘এই মুহূর্তে ট্যাংক, বিএমপি, এপিসি, এএফভিসহ শতাধিক সাঁজোয়া যান নিয়ে রাবোতিনোর কাছে দফায় দফায় হামলা চালানো হয়েছে। এর ফলে শত্রুপক্ষ আমাদের প্রতিরক্ষাব্যবস্থার সম্মুখভাগের তিনটি এলাকার কিছুটা ভেতরে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছে।’
রাশিয়ার নিয়োগ করা এই কর্মকর্তা আরও জানান, হামলাকারী ইউক্রেনীয় ইউনিটগুলোকে পিছু হটাতে বিমান হামলাসহ সব ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের এসব ইউনিট পশ্চিমা দেশগুলোর প্রশিক্ষণ দেওয়া বলেও দাবি করেন তিনি।
যুদ্ধক্ষেত্রের প্রকৃত তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সুনাম রয়েছে রুশ সামরিক ব্লগার রাইবারের। তিনি জানান, লড়াইয়ের তীব্রতা কমে এসেছে। রুশ বাহিনী তাদের অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।
এদিকে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের জন্য আরও ৪০ কোটি ডলারের অস্ত্র সহায়তা ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত মঙ্গলবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ ঘোষণা দেয়। এবারের অস্ত্র সহায়তার মধ্যে রয়েছে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা, সাঁজোয়া যান ও ক্ষুদ্র নজরদারি ড্রোন।
জো বাইডেন প্রশাসন ঘোষিত নতুন এ অস্ত্র সহায়তার মধ্যে রয়েছে ব্ল্যাক হর্নেট নামের বিশেষ একধরনের ক্ষুদ্র ড্রোন। পাখির মতো দেখতে এ ড্রোনের ওজন মাত্র ১৭-১৮ গ্রাম। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ১০০ মিলিমিটার, প্রস্থ ২৫ মিলিমিটার।
ভারী ও বড় না হওয়ায় সেনারা সর্বত্র এটা সঙ্গে রাখতে পারেন। বিশেষ এই ড্রোন যেখানে ওড়ানো হয়, তার আশপাশের এলাকার উচ্চ মানসম্পন্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে পারে। এ ছাড়া আকারে ক্ষুদ্র ও তেমন শব্দ না হওয়ায় এই ড্রোন সহজেই প্রতিপক্ষের নজর এড়িয়ে যায়।
বিরল সফরে উত্তর কোরিয়া সফরে গেছেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু। তিনি উত্তর কোরিয়ার বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। বিমানবন্দরে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে স্বাগত জানান উত্তর কোরিয়ার ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা। এই সফরে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেশটির একদল প্রতিনিধিও রয়েছেন।
এদিকে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য লি হংঝংয়ের নেতৃত্বে চীনা প্রতিনিধিদলও উত্তর কোরিয়ায় পৌঁছেছে। করোনা-পরবর্তী সময়ে দেশটিতে এই প্রথম বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বিদেশি প্রতিনিধিরা যোগ দিচ্ছেন। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, বিজয় দিবস উপলক্ষে ঐতিহাসিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হবে। বিশাল এই কুচকাওয়াজে রাশিয়া ও চীনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সম্পর্ক এখন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। যুক্তরাষ্ট্র তাদের মিত্রদেশ দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সামরিক মহড়া করছে। পরমাণু অস্ত্র ছুড়তে পারে, এমন যুদ্ধজাহাজ দক্ষিণ কোরিয়ায় পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন