প্রকাশিত: জুলাই ২৬, ২০২৩, ০২:২৪ এএম
গত এক সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে ইউরোপের দেশ ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে তৃতীয়বারের মতো মুসলিমদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন পুড়িয়েছে একদল উগ্রপন্থী। মঙ্গলবার কোপেনহেগেনে মিসরীয় দূতাবাসের সামনে কোরআন পুড়িয়েছে তারা।
সুইডেনে একই ধরনের ঘটনা ঘিরে মুসলিম বিশ্বের তীব্র নিন্দা ও সমালোচনার মাঝে ডেনমার্কে মঙ্গলবার কোরআন পোড়ানোর এই ঘটনা ঘটেছে। এর আগে সোমবারও কোপেনহেগেনে ইরাকি দূতাবাসের সামনে পবিত্র কোরআনের একটি কপিতে আগুন দেয় বিক্ষোভকারীরা।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, মঙ্গলবার কোপেনহেগেনে মিসরীয় দূতাবাসের সামনে একটি কোরআনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে ইসলামবিরোধী একটি গোষ্ঠীর পাঁচ সদস্য। এ নিয়ে দেশটিতে গত এক সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে তৃতীয় বারের মতো কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটলো।
ডেনমার্ক ও সুইডেন বলেছে, তারা কোরআন পোড়ানোর ঘটনার নিন্দা জানালেও বাকস্বাধীনতার সুরক্ষা আইনের আওতায় তা ঠেকাতে পারবে না। কোরআন পোড়ানোর ঘটনার প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ইরাকের রাজধানী বাগদাদে সুইডিশ দূতাবাসে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এর আগে, গত শুক্রবার কোপেনহেগেনে ‘ড্যানিশ প্যাট্রিওটস’ নামের উগ্রপন্থী ওই গোষ্ঠী পবিত্র কোরআনের পাশাপাশি ইরাকের পতাকায় আগুন ধরিয়ে দেয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা গোষ্ঠীটির ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশি পাহাড়ায় ইরাকি পতাকা ও পবিত্র কোরআনের একটি কপিতে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে ড্যানিশ প্যাট্রিওটসের সদস্যরা।
সোমবারও কোপেনহেগেনে ইরাকি দূতাবাসের সামনে একইভাবে কোরআন পুড়িয়েছে এই গোষ্ঠী। মঙ্গলবারও ড্যানিশ প্যাট্রিওটসের সদস্যরা মিসরীয় দূতাবাসের সামনে কোরআনে আগুন দিয়েছেন। গত এক মাসে সুইডেনেও দুবার কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে।
ইরাকের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোর কর্তৃপক্ষকে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় তথাকথিত মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও অধিকারের প্রদর্শনের বিষয়টি দ্রুত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে।
কোরআন পোড়ানোর ঘটনাকে মুসলিমদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থের ওপর ‘ঘৃণ্য আক্রমণ’ আখ্যা দিয়ে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে তুরস্ক। ইসলামের বিরুদ্ধে এই ‘বিদ্বেষমূলক অপরাধ’ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে ডেনমার্কের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জানিয়েছে দেশটি।
কোরআনে অগ্নিসংযোগের ঘটনাকে ‘উস্কানিমূলক ও লজ্জাজনক কাজ’ হিসেবে উল্লেখ করে নিন্দা জানালেও আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে অহিংস বিক্ষোভকারীদের আটকানোর ক্ষমতা নেই জানিয়েছে ডেনমার্কের সরকার।
বিএস/