প্রকাশিত: জুলাই ২৩, ২০২৩, ০৭:২১ পিএম
রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের পাঁচ হাজারের মতো যোদ্ধা পার্শ্ববর্তী দেশ বেলারুশে পৌঁছেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এমনটা মনে করছেন ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র আন্দ্রি ডেমচেনকো।
গত ২৪ জুন রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ব্যর্থ বিদ্রোহ করে বেসরকারি ভাড়াটে বাহিনীটি। পরবর্তীতে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সন্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় ব্যারাকে ফিরে যায় ওয়াগনারের যোদ্ধারা। ওই সময় সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী ওয়াগনার বাহিনীকে বেলারুশে চলে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
কিয়েভ ইন্ডিপেন্ডেন্ট জানিয়েছে, আন্দ্রি ডেমচেনকো শনিবার সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, প্রথমদিকে ভাড়াটে দলের সদস্যরা যখন বেলারুশে ঢুকেছিল তখন সংখ্যাটা ছিল কয়েকশ। এখন তাদের সংখ্যা ৫ হাজারে পৌঁছাতে পারে।
এই রুশ ভাড়াটে বাহিনী ইউক্রেনের জন্য হুমকি নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, সবকিছুর পরও ইউক্রেনের সীমান্তরক্ষী বাহিনী যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত।
কয়েকদিন আগে বেলারুশের সেনাবাহিনীর কিছু সদস্যকে প্রশিক্ষণও দিতে দেখা গেছে ওয়াগনারকে। এ নিয়ে খবর প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলে।
এদিকে বেলারুশের বাহিনী শিগগিরই পোল্যান্ডের সীমান্তের কাছে ওয়াগনার যোদ্ধাদের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া করবে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
গত মাসে ব্যর্থ বিদ্রোহের পর রাশিয়া ছেড়ে বেলারুশে পাড়ি জমানো ওয়াগনারকে হুমকি হিসেবে দেখছে অনেকে। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি নেদারল্যান্ডসে ন্যাটোর এক বৈঠকে শঙ্কা প্রকাশ করেছে জোটটির পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলো।
তবে ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনকে আর আগের মতো সচরাচর প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না। সম্প্রতি কিছু গণমাধ্যম জানায়, বাহিনীর নতুন প্রধান নিয়োগ দিবেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
জেকেএস/