• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

রাশিয়ার ওপর ফের যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত: জুলাই ২২, ২০২৩, ০২:০৮ এএম

রাশিয়ার ওপর ফের যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

রাশিয়ার ওপর নতুন করে আবারও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এবার দেশটির ১২০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেন মার্কিন অর্থ দফতরের উপমন্ত্রী ওয়ালি অ্যাডিইয়েমো।

রয়টার্সের প্রতিবেদন মতে, নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ইউক্রেন যুদ্ধে সহযোগিতা করছেন এমন কর্মকর্তা ও ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনার বাহিনীর নেতা ইয়েভজেনি পিগোজিনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা রয়েছে।

গত বছর ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র ইউরোপীয় দেশগুলো। এসব নিষেধাজ্ঞার ফলে রাশিয়ার অর্থনীতির উপর যতটা চাপ আসবে বলে আশা করা হয়েছিল, তেমনটা হয়নি।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) আবারও নিষেধাজ্ঞা করল ওয়াশিংটন। এদিন মার্কিন অর্থ দফতরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, রাশিয়ার সামরিক সক্ষমতার লাগাম টানতে, রণক্ষেত্রে অস্ত্র ও গোলাবারুদের সরবরাহ রোধ করতে ও তাদের অর্থনৈতিক শক্তি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় এটা অন্যতম পদক্ষেপ।

নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্টে ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও রুশ প্রযুক্তি কোম্পানি ইয়ানডেক্সের কর্পোরেট উন্নয়ন উপদেষ্টা আলেক্সি কুরদিন। ওয়াগনার বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় রুশ নাগরিক ভ্যালেরি চেকালোভ ও উত্তর কোরিয়ার নাগরিক ইয়ং হিউক রিমের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

এছাড়া অন্তত পাঁচটি ব্যাংকসহ রাশিয়ার বেশ কয়েকটি শিল্প কারখানা, প্রযুক্তি কোম্পানি ও মাইনিং কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রাখা হয়েছে। পাশাপাশি রাশিয়ায় প্রযুক্তি সরবরাহের সংশ্লিষ্টতা থাকায় কিরগিজস্তানের বেশ কয়েকটি কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

ওয়াশিংটনের সর্বশেষ এ নিষেধাজ্ঞাকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে বাইডেন প্রশাসনের ‘বিরামহীন আক্রমণের’ অংশ উল্লেখ করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা বিশ্বের চাপিয়ে দেয়া ‘হাইব্রিড যুদ্ধের’ অংশ হিসেবে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞাকে হোয়াইট হাউসের ‘ধ্বংসাত্মক পদক্ষেপ’ অভিহিত করে ওয়াশিংটনে রুশ দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এ নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার সামরিক সক্ষমতা, অর্থনীতি ও প্রযুক্তিগত সার্বভৌমত্বকে আরও সুসংহত করতে সহায়তা করবে।’

গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। তারপর থেকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলো অসংখ্যবার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

শুধুমাত্র ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো রাশিয়ার বিভিন্ন শিল্পখাত, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে অন্তত ১০বার। এসব নিষেধাজ্ঞায় ৭ শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করা হয়েছে।

যুদ্ধের শুরু থেকেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে সবচেয়ে সরব যুক্তরাষ্ট্র। তবে মিত্র ইইউ দেশগুলোর তুলনায় রাশিয়ার ওপর তাদের নিশেধাজ্ঞার তালিকাটি ছোটই বলতে হয়। এক হিসাবে গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ক্রেমলিন সংশ্লিষ্ট ৩ শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ওয়াশিংটন।

 

জেকেএস/

আর্কাইভ