প্রকাশিত: জুলাই ১৮, ২০২৩, ০৬:৩৬ পিএম
দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিম সাহারা অঞ্চলে সংঘর্ষ চলছে। ১৯৭৫ সালের পর ওই অঞ্চল দখল করে নেয় মরক্কো। আর এবার পশ্চিম সাহারা মরক্কোর সার্বভৌম এলাকা বলে মেনে নিয়েছে ইসরায়েল। চিঠি দিয়ে একথা ইতোমধ্যেই জানিয়েছে নেতানিয়াহুর ইসরায়েল।
জাতিসংঘের কাছেও ইসরায়েল তাদের অভিমত পাঠিয়ে দিয়েছে। ওই অঞ্চলে তারা একটি কনসুলেট খোলার কথাও জানিয়েছে।
পশ্চিম সাহারা একটি সংঘর্ষপূর্ণ এলাকা। দীর্ঘদিন এই এলাকা স্পেনের উপনিবেশ ছিল। ১৯৭৫ সালে তা স্বাধীন হয়। কিন্তু মরক্কো ওই এলাকার অনেকটাই দখল করে নেয়। তখন থেকে পশ্চিম সাহারার স্বাধীনতাকামী যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াই চলছে মরক্কোর।
পশ্চিম সাহারার স্বাধীনতাকামী যোদ্ধাদের নাম পোলিসারিও ফ্রন্ট। ১৯৯১ সাল পর্যন্ত লাগাতার যুদ্ধ চলার পর মরক্কো এবং পোলিসারিওর মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তি সই হয়। কিন্তু ২০২০ সাল থেকে পোলিসারিও নতুন করে লড়াই শুরু করেছে।
পোলিসারিও ফ্রন্টকে সমর্থন করে আলজেরিয়া। পশ্চিম সাহারার একটি অংশ আলজেরিয়া সীমান্ত। মরক্কোর অভিযোগ, অর্থ এবং অস্ত্র দিয়ে আলজেরিয়া বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মদত দেয়।
২০২০ সালে আরব দেশগুলোর সঙ্গে প্রথম ইসরায়েলের সম্পর্ক গড়ে উঠতে শুরু করে। সেই সময়েই যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় মরক্কোর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় ইসরায়েলের। সেই তখন থেকে তাদের সঙ্গে পশ্চিম সাহারা নিয়ে আলোচনা করছে মরক্কো।
বস্তুত, ২০২০ সালেই পশ্চিম সাহারায় মরক্কোর সার্বভৌমত্ব মেনে নিয়েছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার ইসরায়েলও তা স্বীকার করে নিলো। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এর ফলে ওই অঞ্চলে লড়াই আরও তীব্র হবে।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপ আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করবে। মরক্কোর প্রতিবেশী দেশগুলো এই অবস্থানকে স্বাগত জানাবে বলেই তারা মনে করেন।
অবশ্য ইসরায়েল যে এই ঘোষণা দিতে চলেছে তা আগেই সাংবাদিকদের জানিয়ে দিয়েছিল মরক্কো।
বিএস/