• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

প্রেমের টানে ভারতে আসা সেই নারীকে ফেরাতে চায় না পাকিস্তানি পরিবার

প্রকাশিত: জুলাই ১৭, ২০২৩, ০৭:৫৩ পিএম

প্রেমের টানে ভারতে আসা সেই নারীকে ফেরাতে চায় না পাকিস্তানি পরিবার

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রেমের টানে নিজের দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আসা পাকিস্তানী নারী সীমা হায়দারকে নিজ দেশে ফেরাতে চায় না তার পরিবার ও প্রতিবেশীরা। এমনকি সীমা এখন আর মুসলিম নন বলেও দাবি করেছেন তারা।

রোববার (১৬  জুলাই) এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

অনলাইন গেম পাবজি খেলতে খেলতে ২০১৯ সালে ভারতীয় যুবককে মন দিয়ে ফেলেছিলেন পাকিস্তানি নারী। আর সেই প্রেমের টানে চার সন্তানকে নিয়ে স্বামী ও নিজের দেশ ছেড়ে ২২ বছরের শচীনের জন্য ১,৩০০ কিলোমিটার দূর থেকে ছুটে আসেন ৩০ বছরের সীমা।

ভিসা ছাড়া নেপালের মাধ্যমে বেআইনি ভাবে ভারতে প্রবেশ করার অভিযোগে ৪ জুলাই গ্রেফতার হন সীমা। তাকে আশ্রয় দিয়ে গ্রেফতার হন শচীন। সম্প্রতি তারা ছাড়া পান।

জেল থেকে বেরিয়ে উচ্ছ্বসিত সীমা হায়দার জানিয়েছিলেন, তিনি নিজেকে ভারতীয় বলেই মনে করছেন। নয়ডার বাসিন্দা শচীন সিংহের সঙ্গে নতুন করে ঘর বাঁধতে চান।

শচীনকে তিনি স্বামী হিসেবে স্বীকার করেও নিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমকে সীমা বলেন, ‘আমার স্বামী একজন হিন্দু। তাই আমিও একজন হিন্দু। আমার মনে হয় আমি এখন একজন ভারতীয়ও।’

উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, সীমা এবং শচীন গ্রেটার নয়ডার রাবুপুরা এলাকায় থাকেন। শচীনের একটি দোকান রয়েছে।

এই খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর চটেছেন সীমার পাকিস্তানে থাকা প্রতিবেশী এবং আত্মীয়েরা।

সম্প্রতি সীমাকে ফের পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো হবে বলে জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে পাকিস্তানের করাচিতে ওই নারীর পরিবার এবং প্রতিবেশীরা তার এমন কর্মকাণ্ডে মুগ্ধ নয় এবং তারা চায় না সে দেশে ফিরে আসুক।

পাকিস্তানে গুলিস্তান-এ-জওহরের ভিট্টাইয়াবাদে ভাড়া থাকতেন সীমা। ওই বাড়ির মালিকের ১৬ বছরের ছেলে নুর মহম্মদ বলেন, ‘তিনি (সীমা) ওখানে থাকতে পারেন। চার সন্তানকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেয়া উচিত। এখন তিনি আর মুসলিমও নন।’

সীমার স্বামী গুলাম প্রথমে পাকিস্তানি পুলিশকে জানিয়েছিলেন, তিনি ভিট্টাইয়াবাদের ওই বাড়িটি কিনেছিলেন। পরে স্বীকার করেন, ওই বাড়িতে তার স্ত্রী, সন্তানেরা ভাড়া থাকতেন। বাড়ির মালিকের ছেলে নুরও একই কথা জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, গত তিন বছর ধরে ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন সীমা।

 

জেকেএস/

আর্কাইভ