প্রকাশিত: জুলাই ১৭, ২০২৩, ০২:৫৬ এএম
দখলকৃত অঞ্চল থেকে রাশিয়ার সেনাদের হটিয়ে দিতে জুনের প্রথম সপ্তাহে পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইউক্রেন। এ অভিযান শুরুর আগে ইউক্রেনীয় সেনাদের ট্যাংকসহ অন্যান্য ভারী অস্ত্রসস্ত্র দেয় পশ্চিমারা। তবে ইউক্রেনীয়দের এ প্রচেষ্টা আশানুরূপ হচ্ছে না বলে স্বীকার করেছে পশ্চিমা দেশগুলো।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও দাবি করেছেন, ইউক্রেনের এ পাল্টা আক্রমণ পুরোপুরি ব্যর্থ হচ্ছে।
রোববার (১৬ জুলাই) রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিরক্ষা ভেদ করার শত্রুদের সব প্রচেষ্টা… পুরো পাল্টা আক্রমণজুড়ে সব হামলা ব্যর্থ হয়েছে।’
ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ক্লাস্টার বোমা নিয়েও কথা বলেছেন পুতিন। তিনি জানিয়েছে, যদি ইউক্রেনীয় সেনারা রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে এ বোমা ব্যবহার করে তাহলে তারাও এগুলো ব্যবহার করবেন।
এ ব্যাপারে পুতিন বলেছেন, ‘অবশ্যই, যদি এটি (ক্লাস্টার বোমা) আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়, আমরাও পাল্টা পদক্ষেপে একই ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করি।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘রাশিয়ার কাছে ক্লাস্টার বোমার পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে এবং প্রয়োজনে সেগুলো (ইউক্রেনে) ব্যবহার করা হবে।’
চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছিল, ১০০ টিরও বেশি দেশে ক্লাস্টার বোমা নিষিদ্ধ। ক্লাস্টার বোমা রকেট সদৃশ একটি কাঠামোর ভেতর থাকে। এ বোমা বিমান, কামান ও রকেট লঞ্চার থেকে ছোঁড়া যায়। ক্লাস্টার বোমা যখন ছোঁড়া হয় তখন এর ভেতর থাকা ছোট ছোট বোমা ছড়িয়ে যায় এবং এগুলো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে।
তবে ক্লাস্টার বোমার সব ছোট বোমা তাৎক্ষণিকভাবে বিস্ফোরিত নাও হতে পারে। ফলে এগুলো পরবর্তীতে বিস্ফোরিত হয়ে বেসামরিক মানুষের প্রাণহানির কারণ হতে পারে। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে এ বোমা দিলেও; অন্যান্যরা এর বিরোধীতা করেছে।
বিএস/