প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২৩, ০১:৫৪ এএম
ভারতের অনেক সংস্কৃতি আজও বহু শতাব্দী ধরে চলে আসছে। দেশের এমন অনেক জায়গা আছে যেগুলো সম্পর্কে মানুষ এখনো জানেনা। কিছু উপজাতি রয়েছে যাদের আধুনিক সভ্যতার এতোটুকু ছোঁয়া পর্যন্ত লাগেনি। লাদাখে এমনই একটি গ্রাম রয়েছে। এই গ্রাম সম্পর্কে খুব কম মানুষই জানেন। এখানকার বিশেষত্ব হলো এখানকার পুরুষরা, যাদের সাথে সম্পর্ক করে বিদেশি মহিলারা গর্ভবতী হতে চান।
লাদাখ ভারতের সবচেয়ে সুন্দর পর্যটন কেন্দ্র গুলির মধ্যে একটি, যার সৌন্দর্য গোটা বিশ্বের মানুষকে আকর্ষণ করে। কার্গিল থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই গ্রামটি, যার নাম আর্য উপত্যকা। ইউরোপ থেকে মহিলারা মা হওয়ার ইচ্ছা নিয়ে এই গ্রামে আসেণ। গর্ভবতী হওয়ার পর তারা দেশে ফিরে যায়। বিদেশি মেয়েদের এই ইচ্ছার পিছনের কারণটা জানলে চমকে যাবেন।
ইতিহাসের পাতা উল্টালে আমরা জানতে পারি ভারতে পরাজিত হয়ে যখন আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট ফিরে এসেছিলেন, তখন তার সেনাবাহিনীর কিছু লোকজন এই গ্রামেই থেকে গিয়েছিল। যে গ্রামে তারা থাকতো তার নাম আরিয়ান ভ্যালি বা আর্য উপত্যকা। তাদের ব্রোকোপা উপজাতি সদস্য হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং বলা হয়, তারা আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের সেনাবাহিনীর বংশধর।
আরিয়ান ভ্যালি গ্রামটি এখন এই উপজাতির জন্য সারা বিশ্বের কাছে বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের মতই দীর্ঘকায়, পুরুষালী চেহারা ও নীল চোখের মত সন্তান লাভের আশায় ইউরোপের নারীরা এই গ্রামে আসেন। তাদের বিশ্বাস যে, এখানকার পুরুষদের সাথে সম্পর্কের মাধ্যমে তারা গর্ভবতী হলে আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট-র মত সন্তান জন্ম দেবে।
এখানে আসা ইউরোপীয় মহিলারা গর্ভবতী হওয়ার জন্য এই ব্রোকোপা উপজাতি পুরুষদের মোটা অঙ্কের অর্থ দিয়ে থাকে। যদিও এখন এটি ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। গর্ভবতী হওয়ার পর নারীরা তাদের দেশে ফিরে যায়। দাবি করা হয়, যে আজও আর্য উপত্যকায় ২০০০ এর বেশি আর্য উপজাতির মানুষ বাস করে। এসব মানুষের পোষাকও অনেক আলাদা। পুরুষ এবং মহিলা উভয়ই রঙিন এবং খুব আলাদা ধরনের পোশাক পরেন।
জেকেএস/