• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ওয়াগনার প্রধান কী বেঁচে আছেন?

প্রকাশিত: জুলাই ১৪, ২০২৩, ০২:৪৯ এএম

ওয়াগনার প্রধান কী বেঁচে আছেন?

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন নিহত হয়েছেন অথবা কারাবন্দি রয়েছেন বলে দাবি করেছেন সাবেক এক মার্কিন জেনারেল। বুধবার (১২ জুলাই) নিউইয়র্ক পোস্ট এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

মার্কিন সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল রবার্ট আব্রামস ওয়াগনার প্রধান সম্পর্কে এবিসি নিউজকে বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত অভিমত হচ্ছে, মনে হয় না আমরা আর কখনও প্রিগোজিনকে প্রকাশ্যে দেখতে পাব।’

তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, সে হয় আত্মগোপনে আছেন বা কারাবন্দি আছেন অথবা অন্যকিছু হয়েছে। তবে, আমরা আর কখনোই তাকে প্রকাশ্যে দেখতে পাব কিনা তা নিয়ে আমি সন্দিহান।’

বিদ্রোহের পর রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ওয়াগনার প্রধানের সাক্ষাৎ নিয়েও রবার্ট আব্রামস সন্দেহ পোষণ করেন।

এদিকে রুশ কর্তৃপক্ষের কাছে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম হস্তান্তর করছে রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার যোদ্ধারা। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।বুধবার (১২ জুলাই) এক বিবৃতিতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ট্যাংক, মোবাইল রকেট লঞ্চার ও অন্যান্য ভারী অস্ত্রসহ দুই হাজার টনের বেশি সামরিক সরঞ্জাম ইতোমধ্যে হস্তান্তর করেছে ওয়াগনার বাহিনী।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, আড়াই হাজার টনেরও বেশি বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ ও প্রায় ২০ হাজার ছোট অস্ত্র জমা নেয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ সরঞ্জামই যুদ্ধে ব্যবহার করা হয়নি।

ওয়াগনার অস্ত্র জমা দিলেও প্রিগোজিনের অবস্থানসহ সমঝোতার বাস্তবায়ন নিয়ে অনেক কিছু অস্পষ্ট। চলতি সপ্তাহে ক্রেমলিন বলেছে, বিদ্রোহের পাঁচ দিন পর ২৯ জুন প্রায় তিন ঘণ্টা প্রিগোজিনের সঙ্গে বৈঠক করেন পুতিন।

ফ্লইট-ট্র্যাকিং ডেটা অনুসারে, প্রিগোজিনের একটি উড়োজাহাজ মস্কো ছেড়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বেলারুশের দিকে রওনা হয়েছিল, তবে তিনি তাতে ছিলেন কিনা তা জানা যায়নি।

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে রণক্ষেত্রে বেশ উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে ওয়াগনার। বাখমুতসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান দখলে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করেছে ওয়াগনার। তবে যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার শীর্ষ সামরিক নেতৃত্বের কাছ থেকে পর্যাপ্ত সহায়তা না পাওয়ার বিষয়ে একাধিকবার অভিযোগ করেন প্রিগোজিন। পরে তারই ধারাবাহিকতায় ২৩ জুন বিদ্রোহ ঘোষণা করে ওয়াগনার।

পরে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় প্রিগোজিন বিদ্রোহ বন্ধ করেন। সে সময় শর্ত ছিল ওয়াগনার প্রধান এবং তার বাহিনীর যেসব সদস্য চাইবে তারা বেলারুশে চলে যেতে পারবেন। তবে অধিকাংশ সেনাই রাশিয়ায় থেকে যাওয়াই বেছে নেন।

 

জেকেএস/

আর্কাইভ