প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০২৩, ০২:৫৯ এএম
গত দুদিনের টানা বৃষ্টিপাতে বিপর্যস্ত ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটির আবহাওয়া দপ্তর ভারী বৃষ্টিপাত আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে বলে রোববার সতর্ক করে দিয়েছে। এই সতর্কবার্তার পর দিল্লির সব স্কুল সোমবার বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
রাজধানী দিল্লিসহ দেশটির উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় কয়েকটি রাজ্যে গত কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টিপাত চলছে। এর ফলে দেশটিতে চলতি বর্ষা মৌসুমে ভারী বৃষ্টিপাতের রেকর্ড হয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) বলেছে, রোববার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টায় শেষ হওয়া ২৪ ঘণ্টায় ১৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে; যা ১৯৮২ সালের পর জুলাই মাসে একদিনে সর্বোচ্চ। এমনকি ১৯৮৫ সালের পর জুলাইয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ একদিনের বৃষ্টিপাতের রেকর্ডও এটি।
আগামী ২-৩ দিন দিল্লিতে তীব্র বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ। এর আগে, রোববার সকালের দিকে প্রবল বর্ষণের কারণে দিল্লির একটি সরকারি স্কুলের সীমানা প্রাচীর ধসে পড়ে। এই ঘটনার পর দিল্লির মন্ত্রী অতীশি শিক্ষা দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষদের সব সরকারি স্কুল স্বশরীরে পরিদর্শনের নির্দেশ দেন।
ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের (আইএমডি) পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২-৩ দিন রাজধানী দিল্লিসহ হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান, পাঞ্জাব এবং জম্মু ও কাশ্মিরে অতি বৃষ্টিপাত হবে।
আইএমডি বলেছে, উত্তর ভারতে একটি নিম্নচাপ বিরাজ করছে। যার প্রভাবে গতকাল শনিবার (৮ জুলাই) দিল্লিসহ অন্যান্য অঞ্চলে অত্যধিক বৃষ্টিপাত হয়েছে। দিল্লিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। যা ১৯৮২ সালের পর একদিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টির রেকর্ড।
রোববারও দিল্লিসহ আশপাশের শহরগুলোতে বৃষ্টি অব্যাহত ছিল। এই বৃষ্টির প্রভাবে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় জলাবদ্ধতা এবং যানজট দেখা গেছে। অতিবৃষ্টির কারণে গুরুগ্রামের কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
অতিবৃষ্টিতে দিল্লিতে ভবনের ছাদ ধসে পড়ে ৫৮ বছর বয়সী এক নারীর মৃত্যু হয়। এছাড়া বৃষ্টি সংশ্লিষ্ট দুর্ঘটনায় রাজস্থানে ৪ জন প্রাণ হারান। এছাড়া উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগরে রোববার সকালে ছাদ ধসে এক নারী ও তার ছয় বছর বয়সী মেয়ের মৃত্যু হয়। হিমাচল প্রদেশেও ছাদ ধসে একই পরিবারের তিনজন নিহত হন।
অপরদিকে জম্ম এবং কাশ্মিরে আকস্মিক বন্যার পানিতে ভেসে গিয়ে দুই সেনা সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় শ্রীনগর-জম্মু মহাসাগরে অন্তত ৩ হাজার গাড়ি আটকে আছে। ওই সড়কের একটি অংশ বৃষ্টিতে দেবে গেছে। এছাড়া কুল্লো বিভাগের জাতীয় মহাসড়কের একটি অংশ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। সেখানে বিয়াস নদীর পানি বিপদ সীমার ওপর অবস্থান করছে।
বিএস/