• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১

কৃত্রিম মিষ্টি ক্যান্সারের সম্ভাব্য কারণ, ঘোষণা দেবে ডব্লিউএইচও

প্রকাশিত: জুন ৩০, ২০২৩, ০৪:৩৩ পিএম

কৃত্রিম মিষ্টি ক্যান্সারের সম্ভাব্য কারণ, ঘোষণা দেবে ডব্লিউএইচও

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

কোমল পানীয়, চুইংগামসহ অন্যান্য পণ্য তৈরিতে ‘অ্যাসপার্টাম’ নামের যে কৃত্রিম মিষ্টি ব্যবহার করা হয়— সেটিকে ক্যান্সার সৃষ্টির সম্ভাব্য কারণ হিসেবে ঘোষণা দেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

শুক্রবার রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জুলাইয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা আসবে। কোমল পানীয় তৈরিকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সবসময় দাবি করে তাদের পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান নেই। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ক্যান্সার ইউনিট গবেষণার পর অন্য তথ্য পেয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

‘অ্যাসপার্টাম’ নামের এ কৃত্রিম মিষ্টি দিয়ে কোকাকোলার ডায়েট সোডা থেকে শুরু করে মার্সের এক্সট্রা চুইংগাম এবং স্ন্যাপেলের কোমল পানীয় তৈরি করা হয়। আর এবারই প্রথমবারের মতো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার (আইএআরসি) এ উপাদানটিকে ‘মানবদেহে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী’ হিসেবে ঘোষণা দেবে।


আইএআরসির বিশেষজ্ঞ দল এ মাসের শুরুতে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে একটি বৈঠকে বসেন। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কৃত্রিম চিনি অ্যাসপার্টেমকে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হবে।

আইএআরসি এর আগেও খাদ্য পণ্যকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। আর সংস্থাটির এমন ঘোষণার পর বাজারে এর বড় প্রভাব পড়েছিল। অনেক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। কিছু প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্যে ব্যবহৃত উপাদান বদলাতে পর্যন্ত বাধ্য হয়েছিল।

সম্ভাব্য ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান একজন মানুষ কতটুকু পর্যন্ত খেতে বা পান করতে পারেন— এই তথ্য জানায় না আইএআরসি।

এ বিষয়ে মতামত দিয়ে থাকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আরেক অঙ্গ সংস্থা জেইসিএফএ। এ সংস্থাটি ১৯৮৩ সাল থেকে বলে আসছে, একজন মানুষ সীমিত পরিমাণ অ্যাসপার্টাম গ্রহণ করতে পারেন। তবে জেইসিএফএ আবার নতুন করে অ্যাসপার্টাম নিয়ে জুলাইয়েই নতুন মতামত প্রকাশ করবে।


এডিএস/

আর্কাইভ