প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২৩, ০২:৫৯ এএম
২০৩০ ফিফা বিশ্বকাপের যৌথ আয়োজক হবার দৌড় থেকে নাম প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সৌদি আরব। ঘরোয়া লিগে তারকা ফুটবলারদের কিনতে কাড়ি কাড়ি অর্থ খরচ করাটাই এমন সিদ্ধান্তের অন্যতম কারণ বলে মনে করছে বেশকিছু গণমাধ্যম। সৌদি নাম সরিয়ে নিলে আয়োজক হিসেবে রাস্তা অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে যাবে স্পেন-পর্তুগালের জন্য। পাশাপাশি ২৪তম আসর আয়োজনে আগ্রহ রয়েছে আর্জেন্টিনাসহ লাতিন আমেরিকার চার দেশের।
ক্লাব ফুটবলে ইউরোপের একচেটিয়া আধিপত্যে ভাগ বসাতে যাচ্ছে সৌদি। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো থেকে শুরু করে একের পর এক তারকা ফুটবলারদের কিনে, বিশ্বকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা এশিয়ার দেশটির।
রোনালদোর পর করিম বেনজেমা কিংবা এনগোলো কান্তে, ইউরোপ ছেড়ে সৌদি প্রো-লিগে পাড়ি জমানো ফুটবলারদের তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে প্রতিনিয়ত। আর তাদের আনতে আকাশচুম্বী পারিশ্রমিকও গুনতে হচ্ছে দেশটিকে। লিগের অধিকাংশ ক্লাব রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন হওয়ায় সরকারি কোষাগারেও চাপ বাড়ছে।
আর সেই চাপে পড়ে যৌথভাবে ২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়াতে যাচ্ছে সৌদি। `দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ` খ্যাত এই টুর্নামেন্টের আয়োজক হতে, মিসর ও গ্রিসের সঙ্গে জোট বেঁধেছিল দেশটি। তবে বিশ্বকাপ আয়োজন খুবই ব্যয়বহুল হওয়ায়, আগে থেকেই আগ্রহ কম ছিল সৌদি বাদে অন্য দুই দেশের। তবে গ্রিস ও মিসরে অবকাঠামোগত খরচ বহন করার শর্তে ওই দুই দেশকে রাজি করেছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ বিন সালমান। অবশ্য সেই শর্তে গোটা টুর্নামেন্টের ৭৫ শতাংশ ম্যাচ সৌদিতে আয়োজন করার চুক্তি ছিল।
তিন দেশ ভিন্ন তিন মহাদেশের হওয়ায় ভোটের লড়াই নিয়ে অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী ছিল সৌদি। তবে শীর্ষস্থানীয় বেশকিছু গণমাধ্যমের মতে, আনুষ্ঠানিকভাবে আয়োজক হবার প্রস্তাব সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
এছাড়া ২০০৬ জার্মানি বিশ্বকাপের পর থেকে অনুষ্ঠিত হওয়া পাঁচ বিশ্বকাপের চারটিই হয়েছে ইউরোপের বাইরে। ত্রিশের বিশ্বকাপ তাই এ মহাদেশে ফেরানোর ব্যাপারে ইতিবাচক বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রকরা। তাই ইউরোপ থেকে যৌথভাবে আয়োজকের বিড করা স্পেন-পর্তুগাল এ দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে।
সৌদির সরে যাওয়ায় কপাল খুলতে পারে আর্জেন্টিনারও। দক্ষিণ আমেরিকার তিন দেশকে নিয়ে বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চায় তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে আয়োজকের নাম ঘোষণা করার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিএস/