প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২৩, ০৬:০৫ পিএম
সুদানের রাজধানী খার্তুমে বিমান হামলায় অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে কমপক্ষে পাঁচজন শিশু রয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর দিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, শনিবার খার্তুমের জনবহুল ইয়ারমুক জেলায় হওয়া এই হামলায় ২৫টি বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর শীর্ষ এক জেনারেল তাদের প্রতিপক্ষ প্যারামিলিটারি র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) বিরুদ্ধে হামলার মাত্রা বাড়ানোর হুমকি দেওয়ার একদিন পর এ হামলা চালানো হলো।
চলতি বছর এপ্রিলের মাঝামাঝি উত্তর আফ্রিকার দেশটির ক্ষমতায় থাকা সামরিক জোটের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব থেকে সুদানের সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে এই তুমুল লড়াই শুরু হয়।
এ মাসের শুরুতে আরএসএফ ইয়ারমুকের পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেওয়ার দাবি করেছিল, রাজধানীর ওই এলাকায় একটি অস্ত্র নির্মাণ কারখানা রয়েছে।
এদিকে শনিবার পরের দিকে বিবদমান দুই পক্ষ ৭২ ঘণ্টার একটি যুদ্ধবিরতিতেও সম্মত হয় বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি। রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৬টা থেকে এই যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কথা।
খবরে বলা হয়েছে, এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারীরা। তবে এর আগে এই ধরনের একাধিক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা এলেও লড়াইরত পক্ষগুলোকে সেসব মানতে দেখা যায়নি।
ধারণা করা হচ্ছে, দুই পক্ষের লড়াইয়ে হাজারের বেশি লোক নিহত হয়েছে। যদিও প্রকৃত সংখ্যা সংখ্যা সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। নিহতদের মধ্যে অনেক বেসামরিক লোকও আছে।
অপরদিকে জাতিসংঘ জানিয়েছে, তিন মাসের এই লড়াইয়ে এরই মধ্যে আনুমানিক ২২ লাখ লোককে বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হতে হয়েছে। এর মধ্যে ৫ লাখেরও বেশি মানুষ প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন।
আরএসএফ দাবি করেছে, সেনাবাহিনী সর্বশেষ মায়ো, ইয়ারমুক ও ম্যান্ডেলা এলাকায় বেসামরিক লোকদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এ প্রসঙ্গে সেনাবাহিনীর মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে দুই পক্ষের এই সংঘাত সুদানের পশ্চিমাঞ্চল দারফুরে দুই দশক পুরনো সংঘাতকেও পুনরুজ্জীবিত করেছে।
জেকেএস/