• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের পালটা আক্রমণের মূল কারিগর যিনি

প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২৩, ০২:৩৭ এএম

রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের পালটা আক্রমণের মূল কারিগর যিনি

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে দেড় বছর ধরে রাশিয়ার দখলে থাকা কয়েকটি এলাকা ‘মুক্ত’ করতে পুরোদমে অভিযান চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। এ অভিযানের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের নেপথ্যে রয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ এক ব্যক্তি। তিনি জেনারেল ভ্যালেরি জালুঝনি।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, কদিন আগেও ৪৯ বছর বয়সি ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ভ্যালেরি সম্পর্কে কেউ তেমন জানতেন না। এখন তিনি জনপ্রিয়তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে টেক্কা দিচ্ছেন।

বন্ধু ও সহপাঠীদের কাছে ‘আমাদের ভ্যালেরা’ নামে পরিচিত জেনারেল জালুঝনিকে ২০২১ সালের জুলাইয়ে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

জেনারেল জালুঝনির পরিচিত ও ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের মতে, ব্যক্তিগতভাবে তাকে এ পদে নিয়োগ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জেলনস্কি। তার এ নিয়োগে অনেকে তো বটেই, জেনারেল জালুঝনি নিজেও বেশ অবাক হয়েছিলেন। কারণ অনেককে ডিঙিয়ে তাকে এই পদে নিয়োগ দিয়েছিলেন জেলেনস্কি।

অবশ্য আগে থেকেই একজন উচ্চাকাঙ্ক্ষী ও আধুনিকমনা সেনা কমান্ডার হিসেবে পরিচিতি ছিলেন জালুঝনি। একই সঙ্গে একজন নিরহংকারী মানুষ হিসেবেও সবার কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা আছে। তিনি অধস্তনদের সঙ্গে হাসি-ঠাট্টা করতে পছন্দ করেন এবং নিজেকে অন্যদের কাছে বড় হিসেবে তুলে ধরতে চান না।

ইউক্রেনে রাশিয়ার সর্বাত্মক যুদ্ধের মোকাবিলায় ইউক্রেনকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেনারেল ভ্যালেরি জালুঝনি। ২০২২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে স্পষ্ট হয়ে যায়, তিন দিনের মধ্যে রুশ সেনারা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের নিয়ন্ত্রণ নিতে ব্যর্থ হয়েছেন। যদিও প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল, তেমন কোনো বাধা ছাড়াই রাশিয়ার সেনারা কিয়েভের দখল নিয়ে নেবেন।

তবে বাস্তবতা ছিল ভিন্ন। ইউক্রেনের সরকার জনগণকে এ নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানান। এরপর রাশিয়ার সেনারা ইউক্রেনের উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিণ দিকে অগ্রসর হতে থাকে। একই সঙ্গে রাজধানী কিয়েভের জন্য এমন একটা হুমকি হয়ে দাঁড়ায়, যা আমলে না নেওয়ার কোনো উপায় ছিল না।

এরপর ইউক্রেনের নেতৃস্থানীয়দের মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে যায়। তারা পরিকল্পনা করেন, কিয়েভের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া দীর্ঘ এক নদী নিপ্রোর ওপরে থাকা সেতুগুলো ধ্বংস করে দেবেন। এর ফলে নিপ্রো নদীর পূর্ব তীর পা হয়ে রাশিয়ার সেনারা পশ্চিম তীরে আসতে পারবেন না। যেখানে অন্যান্য কৌশলগত স্থাপনার সঙ্গে ইউক্রেনের সরকারি কোয়ার্টারগুলোও অবস্থিত।

এরপর কর্মকর্তারা বিষয়টি নিয়ে মতামত জানতে জেনারেল জালুঝনিকে ফোন করেন। ওই সময় অন্য শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি পরিখায় অবস্থান করছিলেন জেনারেল জালুঝনি।

এ ঘটনার পর যুদ্ধ নিয়ে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং ২০২২ সালের এপ্রিলের শুরুর দিকে ইউক্রেনের সেনারা কিয়েভের উত্তর ও পূর্বদিক থেকে রাশিয়ার সেনাদের পিছু হটতে বাধ্য করেন।

 

জেকেএস/

আর্কাইভ