প্রকাশিত: জুন ১৭, ২০২৩, ১১:১৩ পিএম
চলতি সপ্তাহেই চীন সফরে যাচ্ছেন মার্কিন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। ওয়াশিংন ও বেইজিংয়ের মধ্যে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে উত্তেজনা চলছে।
এরই মধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেন বেইজিং যাচ্ছেন? বিশ্লেষকরা বলছেন, বেইজিং ও ওয়াশিংটন নিজেদের মধ্যকার তিক্ততা ঝেড়ে ফেলে নতুন করে সম্প্রীতির সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় নজর দিতে চায়।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন নিজেও চীন সফরের উদ্দেশ্য স্পষ্ট করার চেষ্টা করেছেন। শুক্রবার (১৬ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, তার আসন্ন চীন সফরের লক্ষ্য হছে, প্রথমত, ভুল বোঝাবুঝির অবসান। পরিস্থিতির চাপে সৃষ্ট ভুল বোঝাবুঝি এড়িয়ে আরও ভাল যোগাযোগ স্থাপন করা।’
দ্বিতীয়ত, মার্কিন স্বার্থ ও মূল্যবোধের রেকর্ড স্পষ্ট করা, এবং তৃতীয়ত, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, মাদক চোরাচালানের বিরুদ্ধে লড়াই এবং জলবায়ু ও স্বাস্থ্য সমস্যাসহ বিশ্বকে প্রভাবিত করা সম্ভাব্য সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো খুঁজে বের করা।
চীনের হাতে আটক মার্কিন নাগরিকদের বিষয়টিও তিনি উত্থাপন করবেন বলে জানিয়েছেন। ২০১৬ সালে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী কাই লি এবং ২০০৬ সাল থেকে আমেরিকার যাজক ডেভিড লিনসহ বিভিন্ন অভিযোগে বেশ কয়েকজন মার্কিন নাগরিক চীনে আটক রয়েছেন।
প্রায় পাঁচ বছর পর যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কোনো কূটনীতিক হিসেবে প্রথম বেইজিং সফরে যাচ্ছেন ব্লিঙ্কেন। রোববার (১৮ জুন) ও সোমবার (১৯ জুন) চীনা নেতাদের সাথে আলোচনায় বসবেন তিনি।
ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘তীব্র প্রতিযোগিতার জন্য টেকসই কূটনীতির প্রয়োজন যাতে করে প্রতিযোগিতা দ্বন্দ্ব বা সংঘাতের দিকে না যায়।’ তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও চীন উভয়ের কাছে বিশ্ব এটাই প্রত্যাশা করে।’
মূলত চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ব্লিঙ্কেনের বেইজিং সফরের কথা ছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তাদের আকাশে একটি চীনা গুপ্তচর বেলুন শনাক্ত করার পর সেটাকে গুলি করে ভূপাতিত করে। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের মধ্যে ব্লিঙ্কেনের বেইজিং সফর বাতিল করা হয়।
এডিএস/