• ঢাকা বুধবার
    ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১

ইসরাইলে বিচারব্যবস্থা সংস্কারের বিরুদ্ধে ও নেতানিয়াহুর পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ

প্রকাশিত: জুন ১২, ২০২৩, ০৯:৩৪ পিএম

ইসরাইলে বিচারব্যবস্থা সংস্কারের বিরুদ্ধে ও নেতানিয়াহুর পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর স্থগিতাদেশ সত্ত্বেও বিতর্কিত বিচারব্যবস্থা সংস্কারের প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল ইসরাইল। নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে তেল আবিবের রাস্তায় নামেন হাজার হাজার ইসরাইলি নাগরিক। সংস্কারের নামে দুর্নীতির অভিযোগে বিচারাধীন প্রধানমন্ত্রীর বিচার ঠেকানোর পাঁয়তারার অভিযোগ তাদের।

বিচারব্যবস্থা সংস্কারের প্রতিবাদে শনিবারও (১০ জুন) নজিরবিহীন গণবিক্ষোভ শুরু হয় তেল আবিবে। হাজার হাজার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে চলছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পিছু হটা সত্ত্বেও বিক্ষোভের তরঙ্গ কমছে না ইসরাইলে।

বিচারব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনতে সরকারের প্রস্তাব সামনে আসতেই ফুঁসে ওঠেন নাগরিকরা। টানা বিক্ষোভের জেরে সংস্কার-উদ্যোগ স্থগিত করতে বাধ্য হন নেতানিয়াহু। এরপরও পাঁচ মাস ধরে কেন বিক্ষোভ চলছে ভূখণ্ডটিতে?

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, বিচার বিভাগীয় সংস্কারের নামে সুপ্রিম কোর্টকে নখদর্পণে আনার ফন্দি এঁটেছেন নেতানিয়াহু। কারণ, সংস্কার পরিকল্পনা অনুযায়ী, যেকোনো আইন পর্যালোচনা ও বাতিল করার ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যাবে। পার্লামেন্ট নেসেটের মাত্র একজন আইনপ্রণেতার সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আদালতের যেকোনো সিদ্ধান্ত পাল্টে দেয়ার ক্ষমতা পাবে সরকার। ওই আইন পাস হলে সুপ্রিম কোর্টসহ বিভিন্ন আদালতের কে বিচারক হবেন, সে ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা সরকারের হাতে চলে যাবে।


এ ক্ষেত্রে সংস্কারের নামে দুর্নীতির অভিযোগে নেতানিয়াহুর বিচার ঠেকানোর পাঁয়তারা করা হচ্ছে বলে দাবি বিরোধীদের। এটি কার্যকরের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী তার বিরুদ্ধে চলা আইনি মামলা থেকে বাঁচার সুযোগ খুঁজছেন বলেও অভিযোগ করেন তারা।

এ অবস্থায় বিচার বিভাগে সংস্কারের পরিকল্পনা থেকে সরে আসাসহ প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর পদত্যাগ এখন ইসরাইলিদের প্রধান দাবি। এতে সবচেয়ে বড় অভ্যন্তরীণ সংকটে পড়েছেন নেতানিয়াহু। ইসরাইলের ইতিহাসে সবচেয়ে উগ্র ডানপন্থি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এখন যেন ভূখণ্ডটির নাগরিকদের জন্য গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছেন।

এদিকে চলমান বিক্ষোভে ইসরাইলের বিরোধীরা ছাড়াও সামরিক বাহিনীর রিজার্ভ সেনারাও অংশ নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার পাশাপাশি নিজ কর্মীদের যোগ দিতে নির্দেশ দেয়ার খবর সামনে এসেছে ভূখণ্ডটির প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের বিরুদ্ধে। গেল এপ্রিলেই মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন থেকে ফাঁস হওয়া গোপন নথিতে উল্লেখ ছিল, বিক্ষোভে সমর্থন দিয়ে পরিস্থিতি উসকে দিচ্ছে সংস্থাটি।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে উঠে আসে, আন্দোলনে ইন্ধন দিয়ে নেতানিয়াহু সরকারকে উৎখাতের ছক কষছে মোসাদ। যদিও মোসাদের সমর্থনের বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে নেতানিয়াহু কার্যালয়। তবে সরকারের সিদ্ধান্ত জনবিরোধী হওয়ায় নেতানিয়াহুর কপালে চিন্তার ভাঁজ স্পষ্ট বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।


এডিএস/

আর্কাইভ