• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বিমান বিধ্বস্তের ৪০ দিন পর আমাজন থেকে ৪ শিশু উদ্ধার

প্রকাশিত: জুন ১০, ২০২৩, ০৮:২৮ পিএম

বিমান বিধ্বস্তের ৪০ দিন পর আমাজন থেকে ৪ শিশু উদ্ধার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

কলম্বিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের আমাজনে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছিল পাঁচ সপ্তাহেরও বেশি সময় আগে। সম্প্রতি বিধ্বস্ত বিমানটি থেকে চার শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো বিষয়টি নিশ্চিত করেন। খবর বিবিসির।

বিমানটিতে থাকা সব যাত্রী স্থানীয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের। গত ১ মে বিমানটি আমাজন বনের একটি এলাকা থেকে কলম্বিয়ার অন্যতম শহর সান হোসে গুয়াভাইরো শহরের উদ্দেশে যাত্রা করে। কিন্তু যাত্রাপথে বিমানটি কলম্বিয়ার ক্যাকুয়েটা ও গুয়াভিয়ারে প্রদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় বিধ্বস্ত হয়।

বিমান যেখানে বিধ্বস্ত হয়েছিল সেখান থেকে সামরিক বাহিনী চার শিশুকে উদ্ধার করেছে। উদ্ধার হওয়া চার শিশু আপন ভাই-বোন। তাদের বয়স ১৩, ৯, ৪ ও ১ বছর।

সামরিক বাহিনী উদ্ধার অভিযানে উড়োজাহাজ ও হেলিকপ্টার ব্যবহার করে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরও তাদের সহযোগিতা করে। জঙ্গলে বেঁচে থাকার তাগিদে শিশুদের খাওয়া ফলের উচ্ছিষ্ট তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে কাজে লেগেছে বলে জানা যায়।

সামরিক বাহিনী জানায়, উদ্ধারকারীরা লাঠি ও ডালপালা দিয়ে তৈরি ঘরের মতো একটি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র দেখতে পান। তারা ধারণা করেন যে সেখানে কেউ জীবিত আছেন।

সামরিক বাহিনী প্রকাশিত ছবিতে জঙ্গলের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রের ডালপালার সঙ্গে একটি কাঁচি এবং চুল বাঁধার ফিতা দেখতে পাওয়া যায়। এর আগে বাচ্চাদের পানির বোতল এবং একটি আধা-খাওয়া ফল খুঁজে পেয়েছিলেন উদ্ধারকারীরা।


সামরিক বাহিনী জানায়, শিশুরা একসঙ্গে ছিল। জঙ্গলের ভেতর তারা নিজেরাই নিজেদের রক্ষা করছিল।

প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো এক টুইটে বলেন, ‘গোটা দেশের জন্য আনন্দের, যে চারটি শিশু হারিয়ে গিয়েছিল, কলম্বিয়ার জঙ্গলে তাদের পাওয়া গেছে।’

পেত্রো উদ্ধার হওয়া ভাই-বোনদের সঙ্গে উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়া সামরিক এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকজন সদস্যের একটি ছবি শেয়ার করেন।

এরপর তাদের কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোটায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

এর মধ্যে উদ্ধার করা হয় প্লেনের পাইলট এবং দুই প্রাপ্তবয়স্কের মরদেহ। তারা জঙ্গলের ভেতর কোনো অবস্থান থেকে কলম্বিয়ার আমাজন রেইনফরেস্টের অন্যতম প্রধান শহর সান জোসে দেল গুয়াভিয়ারের উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন।

ওই বিমান দুর্ঘটনায় চার শিশুর মা ম্যাগডালেনা মুকুতেই ভ্যালেন্সিয়া, পাইলট হার্নান্দো মুর্সিয়া মোরালেস ও ইয়ারুপারি উপজাতি গোষ্ঠীর নেতা হারম্যান মেন্দোজা হার্নান্দেজ নিহত হন।


এডিএস/

আর্কাইভ