• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

ধর্ষণের সংজ্ঞায় কেন পরিবর্তন আনছে জাপান

প্রকাশিত: জুন ৮, ২০২৩, ০৯:৫৩ পিএম

ধর্ষণের সংজ্ঞায় কেন পরিবর্তন আনছে জাপান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাপানের পার্লামেন্ট দেশটির যৌন নিপীড়ন আইনের সংস্কারে যুগান্তকারী একটি বিল নিয়ে আলোচনা করছে। বিলটি পাস হলে গত এক শতাব্দীর মধ্যে এটি হবে এ আইনের দ্বিতীয় সংশোধন। খবর বিবিসির।

বিলে বেশ কয়েকটি পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। সবচেয়ে বড় ও তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তনটি হবে ধর্ষণের সংজ্ঞায়। আইনপ্রণেতারা ধর্ষণকে ‘জোর করে যৌন সংসর্গ’ থেকে ‘অসম্মতিমূলক যৌন সংসর্গ’-তে পুনঃসংজ্ঞায়িত করেছেন।

বর্তমান জাপানি আইনে ধর্ষণকে ‘জোর করে’ ও ‘ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে’ বা একজন ব্যক্তির ‘অচেতন অবস্থা বা প্রতিরোধ করার অক্ষমতা’র সুযোগ নিয়ে সংঘটিত যৌন সংসর্গ বা অশালীন কাজ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়।
 
এটি অন্যান্য অনেক দেশের সংজ্ঞার সঙ্গে বিরোধপূর্ণ, যা ধর্ষণকে আরও বিস্তৃতভাবে সংজ্ঞায়িত করে যেকোনো অ-সম্মতিমূলক মিলন বা যৌন ক্রিয়া হিসেবে।


মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, জাপানের এই সংকীর্ণ সংজ্ঞা প্রসিকিউটর এবং বিচারকদের দ্বারা আইনের আরও সংকীর্ণ ব্যাখ্যার দিকে পরিচালিত করেছে, ন্যায়বিচারের জন্য একটি অসম্ভব উচ্চ বাধা স্থাপন করেছে এবং সংশয়বাদের সংস্কৃতিকে উৎসাহিত করেছে, যা ভুক্তভোগীদের এসব অপরাধ রিপোর্ট করা থেকে বিরত রাখে।
 
ধর্ষণের পুনঃসংজ্ঞায়নের অংশ হিসেবে নতুন আইনটি স্পষ্টভাবে আটটি পরিস্থিতি নির্ধারণ করে যেখানে ভুক্তভোগীদের পক্ষে ‘সম্মতি না দেয়ার অভিপ্রায় গঠন, প্রকাশ করা বা পূরণ করা’ কঠিন।

নতুন আইনে সম্মতির বয়সও বাড়িয়ে ১৬ বছর করা হবে এবং সীমাবদ্ধতার বিধি বাড়ানো হবে। 
তবে পরিস্থিতিগুলোকে অস্পষ্টভাবে শব্দায়িত করা হয়েছে অভিযোগ করে কিছু মানবাধিকার গোষ্ঠী এগুলোকে আরও স্পষ্টভাবে নির্ধারণের আহ্বান জানিয়েছে।


এডিএস/

আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ