• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ০৭ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১

ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনা: বগি কেটে বের করা হচ্ছে মরদেহ

প্রকাশিত: জুন ৩, ২০২৩, ০৯:৫৮ পিএম

ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনা: বগি কেটে বের করা হচ্ছে মরদেহ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভারতের ওড়িশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৮৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দুর্ঘটনায় বগির নিচে অনেক মানুষ আটকা পড়ে আছেন। তাদের উদ্ধারে চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ছাড়াও বিধ্বস্ত ট্রেনের নিচে বহু মরদেহ পড়ে আছে, যেগুলো এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানায়, রাতভর উদ্ধার অভিযান চালিয়েছেন উদ্ধারকারীরা। আটকে পড়া মানুষদের বের করে আনতে ওয়েল্ডিং গ্যাস কাটার ও ইলেকট্রিক কাটার ব্যবহার করা হচ্ছে।

ভুবনেশ্বরের কর্মকর্তারা বলেন, উদ্ধার অভিযানে প্রায় ১২০০ মানুষ অংশ নিয়েছেন। পাশাপাশি ২০০টি অ্যাম্বুলেন্স, ৫০টি বাস এবং ৪৫টি মোবাইল হেলথ ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করছে। ট্রাক্টরসহ সব ধরনের যানবাহন ব্যবহার করে মরদেহগুলো হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে।

লাইনচ্যুত বগিগুলোর ভেতর থেকে মরদেহ বের করে আনতে ‘গ্যাস কাটার’ ব্যবহার করা হচ্ছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মী এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এক উদ্ধারকর্মী বলেন, দুর্ঘটনাস্থলে কিছু কিছু দৃশ্য এতটাই ভয়াবহ যে বর্ণনা করা কঠিন। ঘটনাস্থলে রেললাইন অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ট্রেনের ছিন্ন ভিন্ন বগিগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। আবার দেখা গেছে, কিছু বগি একটি অপরটির ওপর উঠে গেছে, আবার কিছু বগি উল্টে আছে।


শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে ওড়িশার বালেশ্বর জেলার বাহাঙ্গা বাজার এলাকায় ঘটে ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা। শালিমার থেকে চেন্নাইগামী সেন্ট্রাল করমণ্ডল এক্সপ্রেস, বেঙ্গালুরু থেকে হাওড়াগামী সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস এবং একটি মালবাহী ট্রেন দুর্ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে।

কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল সে সম্পর্কে স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি এখনও। এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, সিগন্যালে অপেক্ষমাণ মালগাড়ির সঙ্গে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছিল এবং সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস আগেই ওই এলাকায় লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে ছিল। সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুতির সঙ্গে করমণ্ডল এক্সপ্রেস ও মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষের কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল কি না, তা এখনও বলতে পারছেন না কর্মকর্তারা।

ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দুর্ঘটনাস্থলের আশপাশে যেসব সেনাঘাঁটি রয়েছে, সেখান থেকেই সেনাদের যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যেন তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারে।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘উদ্ধার অভিযান, আহতদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য ভারতের সেনাবাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে। ইস্টার্ন কমান্ড থেকে সেনা মেডিকেল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং দল, অ্যাম্বুলেন্স ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি মোতায়েন করা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বিভিন্ন ঘাঁটি থেকে সেনাদের পাঠানো হয়েছে।’


এডিএস/

আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ