প্রকাশিত: জুন ৩, ২০২৩, ০৭:৪৯ পিএম
ভারতের ওড়িশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতদের রক্ত দিতে হাসপাতালে ভিড় করেছেন শত শত মানুষ।
শনিবার (৩ জুন) ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর অনেকে ওড়িশার বিভিন্ন হাসপাতালে রক্ত দানে ছুটে যান।
ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী প্রদীপ জেনা সাধারণ মানুষের এগিয়ে আসার ব্যাপারে বলেন, ‘মানুষ স্বেচ্ছায় রক্ত দিতে আসছেন। আমি অনেকের কাছ থেকে অনুরোধ পাচ্ছি, এটি ভালো। দুর্ঘটনার পরই স্থানীয়রা উদ্ধারকাজে আমাদের অনেক সহায়তা করেছেন।’
ট্রেন দুর্ঘটনার পর স্থানীয় লোকজনও উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়েছে। স্থানীয় যুবক গণেশ বার্তাসংস্থা এএনআইকে বলেন, পরিস্থিতি ভয়াবহ। হঠাৎ ব্যাপক শব্দ। এরপরই দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। পরিস্থিতি দেখে সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকাজ শুরু করি।
তিনি আরও বলেন, অন্তত ২০০ থেকে ৩০০ জন মানুষকে উদ্ধার করতে পেরেছি। তবে এখনও বহু মানুষ আটকে আছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানাগা বাজার স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। পশ্চিমবঙ্গের শালিমার থেকে চেন্নাই যাচ্ছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস।
পথে ওড়িশার বাহানাগা বাজার এলাকা অতিক্রম করার সময় একটি মালবাহী ট্রেনকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় যাত্রীবাহী ট্রেনটি। এতে ৩টি বগি বাদে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সব বগি লাইনচ্যুত হয়।
ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ২৮৮ জনে পৌঁছেছে বলে ওড়িশার ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক সুধাংশু সারেঙ্গি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘উদ্ধারকাজ চলছে। দুর্ঘটনাস্থলে অনেকে গুরুতর আহত অবস্থায় রয়েছেন।’
দুর্ঘটনায় ৮৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন বলে এএফপি জানিয়েছে। তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে ওড়িশার মুখ্যসচিব পি কে জেনার বরাতে নিহতের সংখ্যা ২৩৮ বলে জানানো হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন ৬৫০ জন। ওড়িশা ট্রেন দুর্ঘটনাকে দেশটির ২০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে ভয়াবহ বলা হচ্ছে।
এডিএস/