প্রকাশিত: জুন ৩, ২০২৩, ০৫:৫৮ পিএম
ভারতে ওড়িশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ২৮৮ জনে দাঁড়িয়েছে। শনিবার (৩ জুন) রাজ্যের একজন কর্মকর্তার বরাতে বার্তাসংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ওড়িশার ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক সুধাংশু সারেঙ্গি বলেন, ‘উদ্ধারকাজ চলছে। দুর্ঘটনাস্থলে অনেকে গুরুতর আহত অবস্থায় রয়েছেন।’
দুর্ঘটনায় ৮৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন বলে এএফপি জানিয়েছে।
তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে ওড়িশার মুখ্যসচিব পি কে জেনার বরাতে নিহতের সংখ্যা ২৩৮ বলে জানানো হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন ৬৫০ জন।
ওড়িশা ট্রেন দুর্ঘটনাকে দেশটির ২০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে ভয়াবহ বলা হচ্ছে।
এদিকে ওড়িশা রাজ্যে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার নেপথ্যে কারণ খতিয়ে দেখতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শনিবার সকালে রাজ্যের বালেশ্বরে বাহানগায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘এটা একটা ভয়ংকর মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। রেল, এনডিআরএফ, এসডিআরএফ এবং রাজ্য সরকার একযোগে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। আহতদের সর্বোত্তম স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হবে। শুক্রবারই (২ জুন) ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্তের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানাগা বাজার স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। পশ্চিমবঙ্গের শালিমার থেকে চেন্নাই যাচ্ছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস।
পথে ওড়িশার বাহানাগা বাজার এলাকা অতিক্রম করার সময় একটি মালবাহী ট্রেনকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় যাত্রীবাহী ট্রেনটি। এতে ৩টি বগি বাদে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সব বগি লাইনচ্যুত হয়।
ট্রেন দুর্ঘটনার ঘটনায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুঃখ প্রকাশ করেছেন । তিনি টুইট করে বলেন, ‘ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনায় আমি মর্মাহত। এই দুঃসময়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। আহত ব্যক্তিরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক। পরিস্থিতি নিয়ে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গেও কথা বলেছি।’
এছাড়া দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২ লাখ রুপি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মোদি। পাশাপাশি আহতদের ৫০ হাজার রুপি করে সহায়তা দেয়ার কথা বলেছেন তিনি।
এদিকে নিহতদের পরিবারকে ১০ লাখ রুপি ও গুরুতর আহতদের ২ লাখ রুপি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
জেকেএস/