• ঢাকা সোমবার
    ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

রাশিয়ার স্বল্পমূল্যের জ্বালানি তেলে সয়লাব বিশ্ববাজার, ক্ষুব্ধ সৌদি

প্রকাশিত: মে ৩১, ২০২৩, ০৮:২৪ পিএম

রাশিয়ার স্বল্পমূল্যের জ্বালানি তেলে সয়লাব বিশ্ববাজার, ক্ষুব্ধ সৌদি

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

রাশিয়ার স্বল্পমূল্যের জ্বালানি তেলে সয়লাব বিশ্ববাজার। তেলের দাম সমুন্নত রাখতে উৎপাদন কমানোর ওপেকের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেই কম দামে তেল বাজারে ছাড়ছে দেশটি। এতে উৎপাদন খরচেরও নীচে নেমে গেছে তেলের মূল্য। চুক্তি না মেনে তেল উৎপাদন বাড়ানোর মস্কোর এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ রিয়াদ।

জ্বালানি তেলের বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে দূরত্ব বাড়ছে রাশিয়া ও সৌদি আরবের মধ্যে। তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর জোট ওপেকের আসন্ন শীর্ষ সম্মেলন সামনে রেখে দেশ দুটির মধ্যে মতানৈক্য চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।

তেল রপ্তানিতে শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে চুক্তি ছিলো, দাম সমুন্নত রাখতে তেলের উৎপাদন কমিয়ে রাখা হবে। কিন্তু চুক্তি মেনে উৎপাদন না কমানোর কারণে মস্কোর ওপর হতাশ রিয়াদ। এক প্রতিবেদনে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, রাশিয়ায় উত্তোলন করা বিপুল পরিমাণ তেল বিশ্ববাজারে সস্তায় ছেড়ে দেওয়ার কারণে এই পণ্যের উৎপাদন খরচের চেয়েও বাজারমূল্য কমে যাচ্ছে। এ অবস্থায় প্রতি ব্যারেল তেলের দাম কমপক্ষে ৮১ ডলার রাখার সৌদি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হচ্ছে।  

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, চলতি বছরের শুরুর দিকে তেলের দাম স্বাভাবিক রাখতে সৌদি আরব উৎপাদন কমানোর যে চেষ্টা চালিয়েছিল, তা ভেস্তে গেছে বিশ্ববাজারে সরবরাহ করা রাশিয়ার সস্তা তেলের বন্যায়। বিষয়টির প্রতিবাদ জানিয়ে মস্কোর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে রিয়াদ।

গত এপ্রিলেই দাম সমুন্নত রাখতে তেলের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্তের ঘোষণা দিয়েছিলো ওপেকভুক্ত দেশগুলো। কিন্তু সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, চুক্তির বিষয়টি পুরোপুরি অগ্রাহ্য করেছে রাশিয়া। ধারণা করা হচ্ছে, ইউক্রেনের সঙ্গে চলমান যুদ্ধের কারণে দেশের অর্থনীতি ঠিক রাখতে এমন নীতি গ্রহণ করেছেন ভ্লাদিমির পুতিন।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরুর পর সে বছরের মার্চে তেলের দাম বেড়ে সর্বোচ্চ ১২০ ডলার প্রতি ব্যারেল হয়েছিল। কিন্তু এরপর থেকেই ধারাবাহিকভাবে তেলের দাম কমতে থাকে। সবশেষ মঙ্গলবার (৩০ মে) ডব্লিউটিএ অপরিশোধিত তেলের দাম ৪ শতাংশ পড়ে গেলে প্রতি ব্যারেলের দাম ৭০ ডলারের নিচে নেমে আসে। একই সময়ে ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দাম ৪ শতাংশ পড়ে প্রতি ব্যারেল ৭৪ ডলারে নেমে আসে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেনের সঙ্গে চলমান যুদ্ধের কারণে দেশের অর্থনীতি ঠিক রাখতে এমন নীতি গ্রহণ করেছেন ভ্লাদিমির পুতিন। যদিও রাশিয়ার এমন পদক্ষেপের কারণে দূরত্ব তৈরি হয়েছে মস্কো-রিয়াদের।

 

জেকেএস/

আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ