প্রকাশিত: মে ৩১, ২০২৩, ০১:৫১ এএম
প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিবের পদ থেকে বড় ছেলে শোতারো কিশিদাকে বরখাস্ত করেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যাওয়া কিছু ছবিকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিতর্কের জেরে তিনি এই পদক্ষেপ নিয়েছেন।
আল-জাজিরার প্রতিবেদন মতে, মূলত অসদাচরণের অভিযোগ ওঠায় ছেলেকে বরখাস্ত করেছেন জাপানি প্রধানমন্ত্রী কিশিদা। পাশাপাশি ছেলের ভুলের যাবতীয় দায়দায়িত্বও স্বীকার করেছেন তিনি।
সোমবার (২৯মে) এক সংবাদ সম্মেলনে এ সম্পর্কিত এক প্রশ্নের উত্তরে কিশিদা বলেন, ‘আমি জাপানি জনগণের বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শোনা এবং সমস্যাকে এড়িয়ে না গিয়ে তার সমাধান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ভবিষ্যতেও এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি চলব।’
সংবাদ সম্মেলনে কিশিদা আরও বলেন করেন, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হিসেবে তার ছেলে শোতারের আচরণ যথাযথ নয়। আগামীকাল রাজনৈতিক সচিবের পদে তাকায়োশি ইয়ামামোতো যোগদান করবেন।
ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে গত ৩০ ডিসেম্বর নিজের সরকারি বাসভবনে পার্টির আয়োজন করেছিলেন শোতারো কিশিদা। কয়েকজন আত্মীয় ও বন্ধু-বান্ধবকে সেই পার্টিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তিনি।
গত সপ্তাহে সাপ্তাহিক শুকান বুনশুন ম্যাগাজিন সেই পার্টির ছবি প্রকাশ করে। সেসব ছবিতে দেখা গেছে, পার্টিতে আগত অতিথিরা অনেকেই পার্লামেন্ট ও মন্ত্রীসভার সদস্যদের নকল করে প্রেস কনফারেন্স ও কেবিনেট বৈঠকের অভিনয় করে পোজ দিয়েছেন। অনেকে আবার তার বাসভবনের ভেতরের সিঁড়িতে শুয়েও পোজ দিয়েছেন। এরপরই বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফ্রান্স, কানাডা ও যুক্তরাজ্য সফরে গিয়ে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে কেনাকাটা করার অভিযোগে বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন শোতারো। তার মধ্যেই নববর্ষের পার্টির ছবি প্রকাশিত হওয়ার পর সেই বিতর্ক আরও উস্কে ওঠে।
জাপানের সরকারি এবং বিরোধী দলের সদস্যরা কিশিদার বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগে মুখর হয়ে ওঠেন। মূলত সমালোচকদের মুখ বন্ধ রাখতেই কিশিদা এই পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে মনে করছেন জাপানের রাজনীতি বিশ্লেষকরা।
জেকেএস/