• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

যে কারণে মাথা নত করে ক্ষমা চাইলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

প্রকাশিত: মে ২৭, ২০২৩, ০৭:৫৯ পিএম

যে কারণে মাথা নত করে ক্ষমা চাইলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

পশ্চিমবঙ্গে অবৈধ কারখানায় বিস্ফোরণে নিহতের ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার (২৭ মে) বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শনে গিয়ে রাজ্যবাসীর কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চান তিনি।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি মাথা নত করে সবার কাছে এ ঘটনার জন্য ক্ষমা চাইছি। পাশাপাশি সবার সহযোগিতা চাইছি যে, পশ্চিমবঙ্গে কোথায় এমন অবৈধ আতশবাজির কারখানা দেখলে প্রশাসনকে আপনারা খবর দেবেন। আমরা পরিবেশ বান্ধব আতশবাজি তৈরির জন্য রাজ্য সরকার থেকে একটা ক্লাস্টার তৈরির পরিকল্পনা করছি।’

গত ১৬ মে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল এলাকায় একটি অবৈধ আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণে কারখানার মালিকসহ ১১ জন নিহত হয়।
 
ওই ঘটনায় রাজ্যজুড়ে তোলপাড় পড়ে যায়। সমালোচনার মুখে পড়েন রাজ্য প্রশাসন। বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এতো জায়গায় সরকারি সফর করলেও বিস্ফোরণের পর সেখানে না যাওয়া নিয়ে বিরোধীরা তীব্র সমালোচনা শুরু করেন।

শনিবার এগরায় আতশবাজি কারখানায় নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে যান। সেখানে গিয়েই কার্যত আবেগতাড়িত হয়ে যান মমতা। তিনি বলেন, আমি মাথা নত করে এই ঘটনার জন্য সবার কাছে ক্ষমা চাইছি।


মমতা এদিন প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ড থেকে আতশবাজির মশলা আসার অভিযোগ করেন। একই সঙ্গে তিনি স্বীকার করেন, পশ্চিমবঙ্গ থেকেও আতশবাজি প্রতিবেশী উড়িষ্যা রাজ্যে চালান হয়। এজন্য প্রশাসনকে রাজ্যের সীমান্তগুলোতে আরও কড়া নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেন মমতা।
 
এদিন নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে মমতা বলেন, প্রয়োজনে প্রত্যেকের পরিবারকে একটা করে চাকরি দেয়া হবে। 
এ সময় নিহদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আড়াই লাখ টাকার চেক তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রসঙ্গত, শুধু এগরারই নয়, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে জেলায় জেলায় রয়েছে অবৈধ আতশবাজি কারখানা। এগরার ঘটনার পর মালদাও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার দুটো এলাকায় একইভাবে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর হয়। রাজ্য সরকার যদিও এপরই নড়েচড়ে বসে। শুরু করে রাজ্যজুড়ে অভিযান।


এডিএস/

আর্কাইভ