• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

ধর্ষণ মামলায় খালাস পেলেন প্রখ্যাত ইসলামি শিক্ষাবিদ তারিক রামাদান

প্রকাশিত: মে ২৫, ২০২৩, ০২:০৬ এএম

ধর্ষণ মামলায় খালাস পেলেন প্রখ্যাত ইসলামি শিক্ষাবিদ তারিক রামাদান

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রখ্যাত ইসলামি শিক্ষাবিদ তারিক রামাদানকে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন সুইজারল্যান্ডের একটি আদালত।

বুধবার (২৪ মে) ধর্ষণের অভিযোগের মামলার কোনও প্রমাণ না পাওয়ায় তাকে খালাস দেয়া হয়। খবর আল জাজিরার।

এমনকি ক্ষতিপূরণ হিসেবে জেনেভা সুইস ক্যান্টনের পক্ষ থেকে ১ লাখ ৫১ হাজার সুইস ফ্রাঙ্ক দেয়া হয় অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এ অধ্যাপককে। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি মেয়েকে জড়িয়ে ধরে হাসি দেন।

২০০৮ সালে জেনেভার একটি হোটেলে সুইস এক নারীকে তারিক রামাদান ধর্ষণ করেছিলেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছিল। অন্য ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণকারী এবং রামাদানের ভক্ত ওই নারী আদালতে বলেছিলেন, তিনি নৃশংস যৌন নির্যাতন, মারধর এবং অপমানের শিকার হয়েছেন।

ধর্ষণের অভিযোগ আনা ওই নারী বলেন, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক এক সম্মেলনের পর হোটেল কক্ষে তাকে কফির আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেখানে যাওয়ার পর তারিক রামাদান তার ওপর যৌন নিপীড়ন চালান।

৬০ বছর বয়সি সুইস এই ইসলামি শিক্ষাবিদ দোষী সাব্যস্ত হলে তিন বছরের কারাদণ্ডের মুখোমুখি হতেন। তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করলেও ওই নারীর সঙ্গে সাক্ষাতের কথা স্বীকার করেছিলেন তারিক রামাদান।

ইউরোপীয়-ইসলামি চিন্তাধারার অন্যতম এই শিক্ষাবিদের ক্যারিয়ারে ধর্ষণের অভিযোগের এই মামলা ছিল একেবারে তার আদর্শের বিপরীত।


ইউরোপ যখন সন্ত্রাসী হামলা ও ক্রমবর্ধমান মুসলিমবিরোধী বৈরী সময়ের সাথে লড়াই করছে, তখন তারিক রামাদান কিছুটা মধ্যপন্থা অবলম্বনকারীদের কণ্ঠস্বর হিসেবে হাজির হন। দেশে দেশে সন্ত্রাসবাদের নিন্দা ও মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা করেন তিনি। এমনকি গণতন্ত্রহীনতার সমালোচনা করায় তার প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তিউনিসিয়া, মিসর, সৌদি আরব, লিবিয়া ও সিরিয়া।

২০০৪ সালে প্রভাবশালী সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিনের বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় জায়গা পেয়েছিলেন তিনি। ২০০৭ সালে সেন্ট অ্যান্থনিস কলেজ অক্সফোর্ডের ইসলামিক স্টাডিজের অধ্যাপক নিযুক্ত হন তারিক রামাদান।

 

জেকেএস/

আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ