• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

পিটিআইকে নিষিদ্ধ করার চিন্তাভাবনা করছে সরকার: প্রতিরক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত: মে ২৪, ২০২৩, ১১:০৪ পিএম

পিটিআইকে নিষিদ্ধ করার চিন্তাভাবনা করছে সরকার: প্রতিরক্ষামন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে (পিটিআই) নিষিদ্ধ করার চিন্তাভাবনা করছে সরকার। বুধবার (২৪ মে) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনকে এমন তথ্য জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ।

ইসলামাবাদে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ পিটিআইকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে বলেন, এখনও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। তবে অবশ্যই এ বিষয়ে পর্যালোচনা চলছে।

তিনি বলেন, গত ৯ মে দেশজুড়ে সামরিক স্থাপনায় ভাঙচুরের ঘটনা একেবারে ‘পরিকল্পিত আক্রমণ’ ছিল। আর এ পরিকল্পনার নেপথ্যে ছিলেন পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান ইমরান খান।

পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘অনেক প্রমাণ আছে এবং তাদের লোকজনও নিজেরা বলছে যে, এ বিষয়ে তাদের আগেই জানানো হয়েছিল। আমি মনে করি, এটা তার এক বছরের লড়াই... তার সব পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে এবং সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে এটা তার শেষ পদক্ষেপ।’

তিনি বলেন, পিটিআই গত ৯ মে প্রতিরক্ষা স্থাপনায় আক্রমণ চালিয়ে রাষ্ট্রের ভিত্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে।

এমন কোনো অপরাধ আছে যা ৯ মে করা হয়নি?–এমন প্রশ্ন রেখে খাজা আসিফ বলেন, ‘আইএসআই অফিসে হামলা হয়েছে, শিয়ালকোটে ক্যান্টনমেন্টে প্রবেশের চেষ্টা করেছে; তবে আক্রমণ প্রতিহত করা হয়েছে... তারা লাহোর সেনাবাহিনীর কমান্ডারের বাড়িতেও আগুন দিয়েছে।’
 
তিনি বলেন, ‘আমাদের সবার মধ্যে একটা পরিষ্কার ধারণা ছিল, দেশে এ ধরনের কাজ কেবল ভারতই করতে পারে, পাকিস্তানের কেউ নয়।’

খাজা আসিফ বলেন, ‘পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান ইমরান খান সেনাবাহিনীকে তার প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখছেন। তার পুরো রাজনীতিই সেনাবাহিনীর ছত্রছায়ায় হয়েছে এবং আজ হঠাৎ করেই তিনি এই বাহিনীর বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমি যা বলছি, তা পিটিআই থেকে বেরিয়ে যাওয়া সব নেতা বলছেন।’


‘তারা বলেছে, সবকিছু পরিকল্পনা করেই করা হয়েছে। আসলে তাদের জন্য সব ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছিল। গত ৯ মে-র সহিংসতার বিষয়ে সেনাবাহিনীর অবস্থান বৈধ,’ যোগ করেন তিনি।

পাকিস্তানের এই প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলার ফলে নতুন এক অবস্থা তৈরি হয়েছে। ভবিষ্যতে সশস্ত্র বাহিনীকে লক্ষ্যবস্তু বানানো ঠেকাতে বর্তমান জোট সরকার সম্ভাব্য সব পদক্ষেপই গ্রহণ করবে।
 
গত ৯ মে দেশটির আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ইসলামাবাদ হাইকোর্ট থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ইমরান খানকে। বর্তমানে এ মামলায় জামিনে রয়েছেন পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান। 

তাকে গ্রেফতারের পরপর দেশজুড়ে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশটির সরকার ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সীমিত করে ফেলে। দেশটির সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর ৯ মে-কে ‘কালো অধ্যায়’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।


এডিএস/

আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ