প্রকাশিত: মে ২৪, ২০২৩, ০৩:০৬ এএম
ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের বিধ্বস্ত কিছু অংশে ক্ষতিগ্রস্ত লাখ লাখ মানুষের কাছে খাদ্য, ওষুধ ও অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী সরবরাহের জন্য ৩৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের তহবিল প্রয়োজন। মোখায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য এই সহায়তা জরুরি-ভিত্তিতে দরকার বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে জাতিসংঘ।
বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার শরণার্থী শিবিরে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা বিশালসংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী রয়েছে। মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলের রাখাইনেও লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বসবাস করেন। গত ১৪ মে ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে কক্সবাজার ও রাখাইনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এই ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে রাখাইনে শত শত মানুষ নিহত ও অসংখ্য বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে।
জাতিসংঘ বলেছে, কেবল মিয়ানমারের জন্য ১২২ মিলিয়ন ডলারের অতিরিক্ত অর্থায়ন প্রয়োজন। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য সংস্থাটির বিদ্যমান তহবিল থেকে আরও ২১১ মিলিয়ন ডলার ছাড় করা দরকার। আর বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য পৃথকভাবে ৪২ মিলিয়ন ডলারের তহবিল প্রয়োজন।
মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক রামানাথান বালাকৃষ্ণান বলেছেন, আমরা এখন সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ের মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় প্রদান ও পানিবাহিত রোগের বিস্তার রোধ করার জন্য সময়ের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতা করছি। ত্রাণ প্রচেষ্টায় সহায়তা করার জন্য দাতাদের ‘গভীর মনোযোগ’ দরকার।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে মিয়ানমারের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোতে প্রবেশে জান্তা সরকারের অনুমতির অপেক্ষায় থাকার সময় তহবিলের এই আবেদন জানিয়েছে জাতিসংঘ।
তবে এই বিষয়ে মন্তব্যের জন্য মিয়ানমারের জান্তা সরকারের একজন মুখপাত্রের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। দেশটির সামরিক সরকার বলেছে, ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে ১৪৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ সরবরাহ করা হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে বাংলাদেশে ক্ষয়ক্ষতি কমের বিষয়ে ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গুইন লুইস বলেছেন, বাংলাদেশে অত্যাধুনিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থার কল্যাণে অনেকের জীবন রক্ষা পেয়েছে। তবে অবকাঠামো এবং বাড়িঘর ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জেকেএস/