• ঢাকা শুক্রবার
    ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১

ব্যক্তিগত তথ্য পাচারের দায়ে মেটাকে ১৪ হাজার কোটি টাকা জরিমানা

প্রকাশিত: মে ২৩, ২০২৩, ০২:৩৫ এএম

ব্যক্তিগত তথ্য পাচারের দায়ে মেটাকে ১৪ হাজার কোটি টাকা জরিমানা

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইউরোপীয় সেবা গ্রহীতাদের ব্যক্তিগত তথ্য পাচারের দায়ে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাতৃপ্রতিষ্ঠান মেটাকে ১৩০ কোটি ডলার বা প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা (১৩ হাজার ৯১২ কোটি ৪০ লাখ টাকা) জরিমানা করেছে ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ডেটা সুরক্ষা বিষয়ক নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউরোপিয়ান ডেটা প্রটেকশন বোর্ড।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ইইউ-এর ডেটা সুরক্ষা সম্পর্কিত প্রচলিত আইন জেনারেল ডেটা প্রটেকশন রেগুলেশনের (জিডিপিআর) আওতায় সোমবার (২২ মে) এ জরিমানা আদেশ জারি করে ডেটা প্রটেকশন বোর্ড। সেই সঙ্গে আগামী ছয় মাস ফেসবুকের ইউরোপীয় সেবা গ্রহীতাদের ব্যক্তিগত তথ্য প্রক্রিয়াজাত করতে ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছে।

সোমবার ইউরোপিয়ান ডেটা প্রটেকশন বোর্ড থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলা হয়, তথ্য পাচারের অভিযোগে এ পর্যন্ত ইউরোপীয় ডেটা প্রটেকশন বোর্ড যত জরিমানা জারি করেছে, আর্থিক অঙ্কের হিসেবে সেসবের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ জরিমানা। মেটার পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ডেটা প্রটেকশনের এই জরিমানার বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হবে তারা।

ইউরোপিয়ান ডেটা প্রটেকশন বোর্ডের চেয়ারম্যান আন্দ্রেয়া জেলিনেক বলেন, ‘ইউরোপের বিভিন্ন দেশে লাখ লাখ মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করেন। তাই ব্যক্তিগত তথ্যের পাচারের পরিমাণও বিশাল এবং বেশ ধারাবাহিক ও পদ্ধতিগতভাবে এসব তথ্য পাচার হয়েছে বলে আমাদের অনুসন্ধানে এসেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইউরোপে কারো ব্যক্তিগত গোপনীয়তার লঙ্ঘন করার অর্থ তার ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের শামিল। এই অনাকাঙিক্ষত জরিমানার মাধ্যমে আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোকে এই সতর্কবার্তা দিতে চাইছি যে, ইউরোপে যে কেউ যদি অন্যের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার লঙ্ঘন ঘটলে সুদূরপ্রসারী পরিণতি ভোগ করতে হবে তাকে।’

এদিকে পাল্টা এক বার্তায় মেটা জানিয়েছে, যে সমস্যাটি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই জরিমানা জারি করেছে—সেটি মেটার দুরভিসন্ধি বা গাফিলতির জন্য নয় বরং এটি একটি ‘আইনি’ জটিলতা।


মেটা সদর দপ্তরের গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগের শীর্ষ নির্বাহ নিক ক্লেগ এবং মেটার প্রধান লিগ্যাল অফিসার জেনিফার নিউস্টেড এক বিবৃতিতে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি হওয়ায় মেটা মার্কিন আইন-কানুন অনুযায়ী কোম্পানি পরিচালনা করতে বাধ্য। ব্যক্তিগত ডেটা ও গোপনীয়তা রক্ষা সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচলিত আইন ইউরোপের আইন থেকে ভিন্ন।’

কোম্পানির বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সমস্যাটি সমাধানের জন্য ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকরা বৈঠক শুরু করেছেন এবং একটি কাঙিক্ষত সমাধান আসার পরিস্থিতিও তৈরি হচ্ছিল। তার মধ্যেই এই জরিমানা জারি করা হলো।

 

জেকেএস/

আর্কাইভ