• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে

এরদোয়ান নয়, রানঅফে শর্তসাপেক্ষে কামালকে সমর্থন দেবেন ওগান!

প্রকাশিত: মে ১৬, ২০২৩, ০৩:৩৬ এএম

এরদোয়ান নয়, রানঅফে শর্তসাপেক্ষে কামালকে সমর্থন দেবেন ওগান!

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এখন পর্যন্ত মোট কাস্ট হওয়া ভোটের ৯৯ দশমিক ৮৭ শতাংশই গণনা করা গেছে। এতে বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বা তার প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারোগলু কেউই প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি। ফলে নির্বাচন গড়াচ্ছে রানঅফ তথা দ্বিতীয় ধাপে। আর দ্বিতীয় ধাপে এরদোয়ানকে নয় বরং কামালকেই সমর্থন দেয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন নির্বাচনে তৃতীয় স্থানে থাকা সিনান ওগান।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সিনান ওগান জানিয়েছেন, তিনি শর্তসাপেক্ষে কামাল কিলিচদারোগলুকে সমর্থন দিতে রাজি। তার শর্ত হলো, কামালকে কুর্দিপন্থি গোষ্ঠীগুলোকে সহযোগিতা দেয়া বন্ধ করতে হবে।  

রোববার (১৪ মে) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৫ দশমিক ২ শতাংশ ভোট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন সিনান ওগান। ফলে প্রায় কাছাকাছি থাকা এরদোয়ান এবং কামালের মধ্যে কে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন তার অনেকটাই নির্ভর করছে সিনান ওগানের হাতে। কার্যত তিনি এখন কিংমেকারে পরিণত হয়েছেন।

কামাল কিলিচদারোগলুকে সহায়তা দেয়ার বিষয়ে সিনান ওগান বলেন, ‘আমরা আমাদের ভোটার-সমর্থকদের সঙ্গে পরামর্শ করব কাকে সমর্থন দিব সে বিষয়ে। তবে সন্ত্রাসবাদবিরোধী লড়াই এবং শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আমাদের অবস্থান চূড়ান্ত।’

৫৫ বছর বয়সী এই শিক্ষক রাজনৈতিক মতাদর্শের দিক থেকে কট্টর ডানপন্থি। তার মতে, ‘আমাদের লক্ষ্য স্পষ্ট। আমরা তুরস্কের রাজনৈতিক সমীকরণ থেকে দুই কুর্দি পার্টিকে সরিয়ে দিতে চাই এবং তুরস্কে জাতীয়তাবাদ এবং সেক্যুলার মতবাদ এগিয়ে নিতে চাই। এবং নির্বাচনের ফলাফল দেখাচ্ছে যে, আমরা এতে সফল হয়েছি।’ 

এদিকে, সিনান ওগান কামালকে কুর্দি সঙ্গ ছাড়তে বললেও কুর্দিপন্থি এইচডিপি কামালকে সমর্থন দিচ্ছে। তবে কুর্দি-ইসলামপন্থি গোষ্ঠী হুদা-পার এরদোয়ানকে সমর্থন দিচ্ছে। ফলে সিনানের দাবি উভয়ের জন্যই রাখা কঠিন হয়ে যেতে পারে।

সিনান জানিয়েছেন, তিনি এখনো এরদোয়ান বা কামাল কারো সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি। তবে তারা তাদের ‘নীতির ওপর অটল’ থেকে আমার সঙ্গে চাইলে আলোচনা করতে পারেন। তিনি বলেন, ‘উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, আমরা কামালকে সমর্থন দিতে তার জোট ন্যাশনাল অ্যালায়েন্সের সঙ্গে একটি চুক্তিতে আসতে পারি। তবে তার আগে, তাদের পরিষ্কার করতে হবে যে তারা কুর্দি এইচডিপিকে কোনো সুবিধা দেবে না। এটি খুবই সোজা।’

২০১১ সালে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে নির্বাচিত হয়ে আসেন সিনান ওগান। সে সময় তার দল ছিল বর্তমানের এরদোয়ানের দলের জোটসঙ্গী এমএইচপি। ২০১৫ সালে দলের প্রধান হওয়ার নির্বাচনে হেরে যান এবং দল থেকে বহিষ্কৃত হন। 

 

জেকেএস/

আর্কাইভ