• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

যে কারণে চূড়ান্ত ভোটের ফলাফল পেতে বিলম্ব

প্রকাশিত: মে ১৫, ২০২৩, ০৮:৪১ পিএম

যে কারণে চূড়ান্ত ভোটের ফলাফল পেতে বিলম্ব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

তুরস্কে পার্লামেন্ট ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল এখনও ঘোষণা করা হয়নি। রোববার (১৪ মে) বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় ভোটগ্রহণ শেষ হলেও দেশটির নির্বাচন কমিশন বলছে, বিদেশে দেয়া তুর্কি নাগরিকদের ভোটের ফলাফল পেতে বিলম্বের কারেণেই এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

সোমবার (১৫ মে) এক প্রতিবেদনে আল জাজিরা জানিয়েছে, বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টার দিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৯৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ ব্যালট গণনা হয়েছে। এতে রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান পেয়েছেন ৪৯ দশমিক ৪২ শতাংশ ভোট। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারোগলু পেয়েছেন ৪৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এছাড়া অপর প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সিনান ওগান পেয়েছেন ৫ দশমিক ২০ শতাংশ ভোট।

প্রকাশিত ফলাফলে বর্তমান প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এগিয়ে থাকলেও প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সংবিধান অনুযায়ী দ্বিতীয় ধাপে ভোট হতে পারে। আগামী ২৮ মে দ্বিতীয় ধাপের ভোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তুরস্কের সুপ্রিম ইলেকশন কাউন্সিলের (ওয়াইএসকে) প্রধান আহমেত ইয়েনার বলেন, বিদেশে ১৮ লাখ ১৭ হাজার ১০টি ভোট পড়েছে। তবে সেগুলোর মাত্র ৩০ তশমিক ৮ শতাংশ ভোট গণনা করা হয়েছে। যে কারণে চূড়ান্ত ফলাফলে বিলম্ব হচ্ছে।
 
তিনি আরও বলেন, প্রবাসী তুর্কি ভোটারের সংখ্যা এবং নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী দলের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণেই মূলত চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করছে পারছে না কমিশন।

এদিকে এরদোয়ান দাবি করেছেন, প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে স্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে আছেন তিনি। তিনি বলেন, প্রথম দফা ভোটে নির্বাচন শেষ হবে কি না, আমরা এখনও তা জানি না। কিন্তু দেশের মানুষ ইচ্ছায় দ্বিতীয় দফায় লড়তে প্রস্তুত রয়েছি আমি।

রোববার (১৪ মে) রাতে রাজধানী আঙ্কারায় দলের সদর দফতরে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে এরদোয়ান বলেন, ‘আমরা সবসময় জাতীয় ইচ্ছার প্রতি সম্মান জানিয়েছি। এ নির্বাচন ও আগামী নির্বাচনেও আমরা জাতীয় ইচ্ছাকেই সম্মান জানাব।’
 
তবে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারোগলু বলেছেন, তিনি রানঅফ বা দ্বিতীয় দফায় ভোটে যেতে প্রস্তুত আছেন। তিনি বলেন, সমস্ত মিথ্যা এবং আক্রমণ সত্ত্বেও, এরদোয়ান কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাননি।


তুরস্কের পার্লামেন্টের ৬০০ এমপি নির্বাচনে এরদোয়ানের দল একে পার্টি নেতৃত্বাধীন পিপলস অ্যালায়েন্স পেয়েছে ৩২৩টি আসন। এর মধ্যে একে পার্টি একাই ২৬৭টি আসনে জয়ী হয়েছে। ক্ষমতাসীন জোটের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স জয়ী হয়েছে ২১১ আসনে।

তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরস্কের এবারের নির্বাচনে নিবন্ধিত ভোটারের সংখ্যা ৬ কোটি ৪১ লাখ।


এডিএস/

আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ