প্রকাশিত: মে ১২, ২০২৩, ০২:৩৩ এএম
যৌ/নকর্মীর সঙ্গে হোটেলের বিছানায় উদ্দাম সে/ক্স। হড়হড়ে অর্গ্যাজমের জেরে চরম পরিণতি ৩৫-এর যুবকের।টাকার বিনিময়ে যৌ/নপল্লীতে গিয়ে সাময়িক তৃপ্তি খুঁজে নেন অনেকেই। রোজনামচার ক্লান্তি থেকে বেরিয়ে ক্ষণিকের এই যৌ/নসুখ পেতে রেড লাইট এলাকায় ঢুঁ মারেন কেউ কেউ। মৃদু লাল আলোয় যৌ/নতার খেলা চলে ছোট্ট ঘরগুলিতে। কিন্তু, যৌ/নকর্মীর সঙ্গে স/ঙ্গমে মেতে উঠতে গিয়েই ঘটে গেল চরম বিপত্তি। অতিরিক্ত উত্তেজনার বশে মৃত্যু হল ৩৫ বছরের এক যুবকের।
ঘটনাটি ২০২১ সালের। যৌ/ন চাহিদা তৃপ্ত করতে এক সে/ক্স ওয়ার্কারের দ্বারস্থ হন মধ্যবয়সী এক আফ্রিকান যুবক। কিন্তু, মিলনের মাঝেই আচমকা ঘটে যায় মর্মান্তিক পরিণতি। চার্লস মাজাওয়া নামে পূর্ব আফ্রিকার মালাওয়ি প্রদেশের বাসিন্দা ওই যুবকের মস্তিষ্কের রক্তনালী ফেটে যায়। তৎক্ষণাৎ মৃত্যু হয় তাঁর।
জানা যায়, মাত্রাতিরিক্ত অর্গ্যাজমের কারণেই যৌ/নতায় লিপ্ত অবস্থায় হার্ট ফেল করেছিল ওই আফ্রিকান যুবকের। ৩৫ বছরের ওই যুবক একটি হোটেলের ঘরে পয়সার বিনিময়ে এক যৌ/নকর্মীকে ডেকেছিলেন। যৌ/নসুখের আশায় তাঁর সঙ্গে স/ঙ্গমরত হন চার্লস মাজাওয়া। কিন্তু, আচমকাই অস্বাভাবিকভাবে ঘামতে শুরু করেন তিনি। সে/ক্সের মাঝে সঙ্গীকে এ ভাবে ঘামতে দেখে প্রবল অস্বস্তিতে পড়েন ওই যৌ/নকর্মী।
স/ঙ্গম থামিয়ে তিনি হোটেল কর্মীদের ডাকতে থাকেন। ইতিমধ্যেই সংজ্ঞা হারান চার্লস। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অপ্রত্যাশিত এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ওই যৌ/নকর্মী। ঘটনা থানা-পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়।
এই মৃত্যু কার্যত শোরগোল ফেলে দিয়েছিল আফ্রিকায়। সে/ক্সের মাঝেই এমন অস্বাভাবিক মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে তদন্তে নামে পুলিশও। লোকমুখে প্রচার হতে শুরু করে এই সংবাদ। সকলেরই প্রশ্ন ছিল, ঠিক কী ঘটেছিল চার্লসের সঙ্গে? পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে সঙ্গিনী যৌ/নকর্মী জানিয়েছিলেন, চার্লস যৌ/ন উত্তেজনায় অত্যধিক মাত্রায় ঘামছিলেন। এরপরই চার্লস অজ্ঞান হয়ে যান। বিছানায় লুটিয়ে পড়েন। প্রথমটায় কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন তরুণী যৌ/নকর্মী। তারপর নিজেই হোটেলকর্মীদের ডেকে আনেন। কিন্তু, হাসপাতালে নিয়ে যেতেই সব শেষ।
পরে অবশ্য পোস্টমর্টেম রিপোর্টে ধরা পড়ে প্রকৃত মৃত্যুর কারণে। চিকিৎসকরা জানান, মাত্রাতিরিক্ত অর্গ্যাজমের কারণেই মৃত্যু হয়েছে চার্লস মাজাওয়ার। ৩৫ বছরের ওই যুবকের যৌ/নকর্মীর সঙ্গে স/ঙ্গমের সময় অতিরিক্ত অর্গ্যাজম হয়। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি। চার্লসের মৃত্যু হয় প্রবল যৌ/নসুখেই। অর্গ্যাজমের সময় তাঁর শরীরে উত্তেজনার পারদ অত্যধিক বেড়ে গিয়েছিল। সে কারণেই তিনি মারাত্মক ঘেমে গিয়েছিলেন। অতিরিক্ত উত্তেজনায় যুবকের বীর্যপাতের সময় মস্তিষ্কের রক্তনালি ফেটে গিয়েছিল। আর এতেই চার্লসের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। তারপর তাঁর হার্ট ফেল করে।
অর্গ্যাজমের কারণে এমন মৃত্যুর কথা আগে জানা যায়নি। চার্লসের পরিণতিতে উদ্বেগ বাড়ে। চিকিৎসকরাও এই নিয়ে নানা পরীক্ষা করেন। মাত্রাতিরিক্ত অর্গ্যাজম আদৌ মৃত্যু ডেকে আনতে পারে কি না, তা নিয়ে কাটাছেড়া চলে চিকিৎসা মহলে। বয়সের ভারে অনেকক্ষেত্রে স/ঙ্গমে প্রাণের ঝুঁকি বাড়ে। কিন্তু, ৩৫ বছর তরুণ তরতাজা স্বাস্থ্যবান যুবকের ক্ষেত্রে এই ঘটনা একাধিক প্রশ্ন তুলে দেয়। স/ঙ্গমরত অবস্থায় অর্গ্যাজমের কারণে এমন মৃত্যু বিরল বলেই সে সময় জানান চিকিৎসকরা।