প্রকাশিত: মে ১১, ২০২৩, ১১:৩১ পিএম
বিশ্বে যুদ্ধ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে উদ্বাস্তু মানুষের সংখ্যা আগের চেয়ে বেড়েছে। গত বছর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অভ্যন্তরীণভাবে উদ্বাস্তুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৭ কোটি ১১ লাখে। যা নতুন রেকর্ড। উদ্বাস্তু বিষয়ক এক রিপোর্টের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
এই মুহূর্তে বিশ্বের বেশ কয়েকটি প্রান্তে যুদ্ধ বা সংঘাত চলছে। তবে যতই দিন যাচ্ছে সেই তালিকায় যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন দেশ ও অঞ্চলের নাম। এর সঙ্গে উদ্বাস্তু হওয়ার অন্যতম বড় প্রভাবক হয়ে হাজির হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন। ফলে দেশে দেশে প্রতিনিয়ত ঘরবাড়ি ও ভিটেমাটি হারাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে জেনেভাভিত্তিক উদ্বাস্তু বিষয়ক সংস্থা ইন্টারনাল ডিসপ্লেসমেন্ট মনিটরিং সেন্টার (আইডিএমসি)। রিপোর্ট মতে, গত বছর তথা ২০২২ সালে উদ্বাস্তুর সংখ্যা আগের বছর তথা ২০২১ সালের তুলনায় ২০ শতাংশ বেড়েছে।
নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের মহাসচিব ও আইডিএমসির পরিচালক জান ইগল্যান্ড জানান, ‘২০২২ সালে যুদ্ধ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এত বেশি পরিমাণ মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছে যা আগে কখনও দেখা যায়নি।’ গত বছর শুধুমাত্র ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশটিতে অভ্যন্তরীণভাবে উদ্বাস্তু হয়েছে ৫৯ লাখ।
বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের উদ্বাস্তু মিলিয়ে দাঁড়ায় ৬ কোটি ২০ লাখ। যা আগের বছরের চেয়ে অন্তত ১৭ শতাংশ বেশি। বর্তমানে ইউক্রেনের যে পরিস্থিতি তা এক সময় দেখা গেছে সিরিয়ায়। দেশটিতে ২০১১ সালে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর মোট ৬৮ লাখ মানুষ উদ্বাস্তু হয়।
এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে উদ্বাস্তুর সংখ্যাও কম নয়। দেশে দেশে বন্যা ও দুর্ভিক্ষের মতো দুর্যোগে গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে উদ্বাস্তু হয়েছে অন্তত ৮৭ লাখ মানুষ। যা আগের বছরের (২০২১) চেয়ে ৪৫ শতাংশ বেশি।
সব মিলিয়ে বিশ্বে এখন অভ্যন্তরীণভাবে উদ্বাস্তুর সংখ্যা ৭ কোটি ১১ লাখ। যুদ্ধ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে যারা নিজ দেশের মধ্যে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে শুধুমাত্র তাদেরকেই আইডিএমসির হিসাবে ধরা হয়েছে।
এডিএস/