প্রকাশিত: মে ১১, ২০২৩, ১০:০৫ পিএম
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে দক্ষিণ কোরিয়ার বৈদেশিক নীতিতে কৌশলগত অস্পষ্টতার সৃষ্টি হয়েছে।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের (এসসিএমপি) বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং দেশে মার্কিন সামরিক বাহিনীর উপস্থিতির কারণে ওয়াশিংটন এবং বেইজিংয়ের মধ্যে কোনো পক্ষকে বেশি প্রাধান্য দেবে সেটি নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।
এ ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে অব্যাহত উত্তেজনা, কোভিড-১৯ মহামারী, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এবং ইউক্রেনের যুদ্ধসহ অন্যান্য বাহ্যিক সমস্যার কারণে দক্ষিণ কোরিয়াকে তার বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য আনা জরুরি হয়ে পড়ে।
এমন পরিস্থিতিতে চীনের পরিবর্তে দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য ভারত একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে।
এদিকে ২০২৩ সালে এসে ভারতের জনসংখ্যা চীনকে ছাড়িয়ে গেছে। এর মাধ্যমে ভারত পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল জাতিতে পরিণত হয়েছে। যেটি ভারতকে বিনিয়োগের ক্ষেত্র হিসেবে আরও আকাঙ্ক্ষিত করে তুলছে।
এ ছাড়া ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির `মেক ইন ইন্ডিয়া` উদ্যোগ, যার লক্ষ্য দেশটিকে একটি বিশ্বব্যাপী উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা, বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করা এবং কর ছাড়ের মতো প্রণোদনা প্রদানের মাধ্যমে এটিকে বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খলে একীভূত করা।
এ ধরনের প্রণোদনা এবং অন্যান্য সুবিধার কারণে অনুপ্রাণিত হয়ে বড় বড় কোরিয়ান ও বৈশ্বিক কোম্পানিগুলো ভারতে তাদের উত্পাদন কেন্দ্র স্থানান্তর করেছে এবং করছে।
এডিএস/