প্রকাশিত: মে ৬, ২০২৩, ০৪:০২ এএম
আগামী মঙ্গলবার (০৯ মে) রাশিয়ার বিজয় দিবস। তার আগেই ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় গুরুত্বপূর্ণ শহর বাখমুত পুরোপুরি দখল করতে চায় রুশ বাহিনী। সেই লক্ষ্যে ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের যোদ্ধাদের বাখমুতে সরিয়ে আনা হচ্ছে। এমনটাই জানিয়েছেন এক শীর্ষ ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা। খবর আল জাজিরার।
গত কয়েক মাস ধরে বাখমুত শহরে রুশ বাহিনী ও ইউক্রেনীয় সেনাদের মধ্যে ব্যাপক লড়াই চলছে। রুশ বাহিনী ইতোমধ্যে শহরের ৮০ শতাংশ এলাকা দখল করে নিয়েছে। কোনঠাসা হয়ে শহরের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে মাটির নিচে ঘাঁটি ও বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছে ইউক্রেনীয় সেনারা। সেখান থেকে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
বাখমুতের এই লড়াইয়ে রাশিয়ার হয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে দেশটির বেসরকারি ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গোষ্ঠী। কিন্তু লড়াই চালিয়ে যাওয়ার মতো পর্যাপ্ত গোলাবারুদ পাচ্ছে না বলে গত কয়েকদিন ধরে অভিযোগ জানিয়ে আসছের বাহিনীর প্রধান ইয়েভজেনি পিগ্রোঝিন। গোলাবারুদের সংকটের মধ্যে বাখমুত থেকে সেনা প্রত্যাহারের হুমকি দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি রুশ সেনাপ্রধানকে ভর্ৎসনাও করেন প্রিগোঝিন।
শুক্রবার (০৫ মে) বার্তা আদান–প্রদানের মাধ্যম টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘১০ মে আমরা বাখমুতের অবস্থান থেকে ওয়াগনার সেনাদের সরিয়ে নিয়ে আসব এবং সেসব অবস্থান (রাশিয়ার) প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে বুঝিয়ে দেব। যুদ্ধের ময়দান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে পেছনে থাকা শিবিরগুলোয় ফিরব, যাতে আমাদের ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারি।’
ওয়াগনার প্রধানের কথায় এটা স্পষ্ট যে সেনা সরিয়ে নিলেও রাশিয়ার বিজয় দিবসের পরই তা কার্যকর করা হবে। তবে আপাতত তারা পুরো শহরের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করছে যোদ্ধারা। অন্তত তেমনটাই বলছেন ইউক্রেন সরকারের এক মন্ত্রী।
দেশটির উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী হান্না মালিয়ার এক টিভি সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘রুশরা প্রতীকের ব্যাপারে বেশ আগ্রহী। আর ৯ মে তাদের সেই প্রতীক উদ্যাপনের একটি ক্ষণ। দিনটির উদ্যাপনে তারা বখমুতের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।’
এদিকে ইতোমধ্যে বিজয় দিবস উদ্যাপনে প্রস্তুতি শুরু করেছে রাশিয়া। বিজয় দিবসের প্যারেড বিষয়ে সিকিউরিটি কাউন্সিল তথা নিরাপত্তা পরিষদের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা সেরে নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
জেকেএস/