• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

ভিডিও কলে কথা বলছে তোতা, করছে বন্ধুত্ব!

প্রকাশিত: মে ৫, ২০২৩, ০৭:১২ পিএম

ভিডিও কলে কথা বলছে তোতা, করছে বন্ধুত্ব!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

একদল তোতাপাখিকে স্মার্টফোন ব্যবহার করে শেখানো হয়েছিল, কীভাবে ভিডিও কল করতে হয়। এরপর তাদের সামনে স্মার্টফোন সহজলভ্য করে দেখা গেল এক অবাক করা বিষয়। দেখা গেল, তোতাগুলো পরস্পরকে কল তো করছেই পাশাপাশি তারা একে অপরকে বিভিন্ন সংকেত শেখাচ্ছে, এমনকি কীভাবে উড়তে হয়, তাও শেখাচ্ছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনপিআরের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ব্যাপকহারে বেড়ে যাওয়ার একটি অনন্য উদাহরণ হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের এ ঘটনা।

মানুষের বাচনভঙ্গি আয়ত্ত আনার ক্ষমতা যেসব পাখির রয়েছে তার মধ্যে তোতা অন্যতম। মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করার ক্ষমতা অন্য অনেক পাখির তুলনায় এই প্রজাতির পাখির অনেক বেশি। তাই তোতা পাখির স্মার্টফোন ব্যবহার অবাক করা বিষয় হলেও বাস্তবতা ভিন্ন।

আধুনিক প্রযুক্তিপণ্য স্মার্টফোন কিংবা ট্যাবলেট ব্যবহার করে এসব প্রশিক্ষিত তোতা পাখির কল করাটা বিস্ময় নয়। পাখিগুলো কল করার জন্য আইফোনের ফেসটাইম অ্যাপ ব্যবহার করছে। শিখছে জুমের মতো ভিডিও কলিং অ্যাপের ব্যবহারও। গবেষকেরা বলছেন, তোতাগুলোর যখন কল করতে ইচ্ছা করে, তখন এক ধরনের সংকেত দেয় সেগুলো।

যুক্তরাষ্ট্রের নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির গবেষক জেনিফার কুনহা বলেন, এক বছরের বেশি সময় হলো পাখিগুলো কথা বলছে ভিডিও কলে।

ভিডিও কলে তোতা কী কী করে, এ জন্য পাঁচ মিনিটের কথোপকথন পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, কথোপকথনের সময় এরা একে অপরকে নতুন শব্দ শেখায়, ওড়া শেখায়। যেসব পাখি একবারও একে অপরকে দেখেনি, তারাও ভিডিও কলে চঞ্চল হয়ে ওঠে, ইতিবাচক সাড়া দেয়।

গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, এই ভিডিও কলে তারা একে অপরের জন্য গান গায়, নাচে। এমনকি এটাও বলতে শোনা গেছে যে, একটি পাখি আরেকটিকে বলছে, ‘হাই! এখানে আসো! হ্যালো!’


এমন ভিডিও কলের মাধ্যমে তোতাগুলোর জীবনযাপন আরও সুন্দর হচ্ছে কি না, এ নিয়েও গবেষণা হচ্ছে। এ জন্য অবশ্য যুক্তরাজ্যের গ্লাসগো ইউনিভার্সিটি ও যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিও নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির সঙ্গে কাজ করছে।

এ প্রসঙ্গে নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক রেবেকা ক্লেইনবার্গার বলেন, ‘আমরা এটা বলছি না যে বন্য পরিবেশে থাকলে পাখিগুলো যতটা খুশি থাকে, ততটা খুশি করা যায় এমন ভিডিও কলের মাধ্যমে। যেসব পাখি বন্দী আছে, সেগুলোকে খুশি রাখার চেষ্টা করছি আমরা।’


এডিএস/

আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ