প্রকাশিত: মে ৫, ২০২৩, ০৬:৫৭ পিএম
সাম্প্রতিককালে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, গাড়ি, সেতু থেকে ভবন নির্মাণে ব্যবহৃত হচ্ছে থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তি। এবার নতুন চমক দেখিয়ে বিশ্বের প্রথম থ্রিডি প্রিন্টেড মসজিদ নির্মাণ করতে যাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দুবাই সরকারের ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড চ্যারিটেবল অ্যাক্টিভিটিজ ডিপার্টমেন্টের (আইএসিএডি) তত্ত্বাবধানে আমিরাতের পুরনো শহর বুর দুবাইয়ে মসজিদটি তৈরি হচ্ছে।
আইএসিএডি জানায়, সাধারণ নিয়মে মসজিদ নির্মাণের চেয়ে এই মসজিদ নির্মাণে ৩০ গুণ বেশি খরচ হবে। তবে থ্রিডি প্রিন্টিং পদ্ধতিতে নির্মাণসামগ্রীর বর্জ্য কমবে। এ ক্ষেত্রে ভবন নির্মাণের ডিজাইনের তথ্যের সঙ্গে প্রগ্রাম সংযুক্ত বড় প্রিন্টিং মেশিনের প্রয়োজন হয়। প্রিন্টারের প্রয়োজনীয় ম্যাটেরিয়াল ও কংক্রিটের মিশ্রণে তা তৈরি করা হবে।
দুই হাজার বর্গমিটার আয়তনের এই মসজিদে একসঙ্গে ৬০০ জন নামাজ পড়তে পারবেন। চলতি বছরের অক্টোবরে মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু হবে। ভবনের নকশার থ্রিডি প্রিন্টিং সম্পন্ন করতে চার মাস এবং প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধার কাজ শেষ করতে ১২ মাস সময় লাগবে। ২০২৫ সালের মার্চে মসজিদটি উন্মুক্ত হওয়ার আশা করা হচ্ছে।
আইএসিএডি মহাপরিচালক ড. হামাদ বিন শেখ আহমেদ আল-শাইবানি বলেন, ‘থ্রিডি প্রযুক্তি ভবন নির্মাণ প্রকৌশলকে টেকসই করে তুলবে। তা খুবই পরিবেশবান্ধব ও নির্মাণসামগ্রীর বর্জ্য কমাতে সহায়ক। মূলত তিনজন কর্মী রোবটিক প্রিন্টারটি পরিচালনা করবেন এবং তা প্রতি ঘণ্টায় দুই বর্গমিটার প্রিন্ট করবে। অবশ্য মসজিদটি নির্মাণে সাধারণ পদ্ধতির চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি খরচ হবে। আশা করছি, ৩০ বছরের বিল্ডিং গ্যারান্টিসহ এর খরচ একই রকম হবে।’
দুবাইকে বিশ্বের থ্রিডি প্রিন্টিংয়ের রাজধানী হিসেবে গড়তে কাজ করছে দেশটির সরকার। ২০২১ সালের আগস্টে দুবাইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন রাশিদ আমিরাতকে ‘থ্রিডি প্রিন্টিং স্ট্র্যাটেজি’ ঘোষণা করে। মূলত ২০৩০ সালের মধ্যে আমিরাতের এক-চতুর্থাংশ ভবন নির্মাণে এই প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতেই বিশেষ আইনটি করা হয়। এরই মধ্যে বৃহত্তম থ্রিডি প্রিন্টেড অবকাঠামোর জন্য বিশ্বরেকর্ড করেছে দুবাই। ২০১৯ সালে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ৬৪০ বর্গমিটার এলাকাজুড়ে সাড়ে ৯ মিটার দৈর্ঘ্যের মিউনিসিপ্যালিটি বিল্ডিং তৈরি করা হয়।
জেকেএস/