প্রকাশিত: এপ্রিল ২৮, ২০২৩, ০২:২০ এএম
উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া নতুন একটি চুক্তিতে উপনীত হয়েছে। নতুন এই চুক্তি অনুযায়ী, ওয়াশিংটন পর্যায়ক্রমে দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন পারমাণবিক সশস্ত্র সাবমেরিন মোতায়েন এবং সিউলকে পারমাণবিক পরিকল্পনা কার্যক্রমে যুক্ত করতে সম্মত হয়েছে।
বিবিসি জানায়, নতুন চুক্তির অধীনে ওয়াশিংটন পর্যায়ক্রমে দক্ষিণ কোরিয়ায় তাদের পরমাণু অস্ত্র সজ্জিত সাবমেরিন মোতায়েন করবে। এ ছাড়া সিউলকে তারা নিজেদের পারমাণবিক পরিকল্পনা কার্যক্রমের অংশ করতেও সম্মত হয়েছে।
ওয়াশিংটনের এ ঘোষণা উত্তর কোরিয়ার আক্রমণ প্রতিরোধে মিত্রদের সহযোগিতা জোরদার করবে বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
উত্তর কোরিয়া যেভাবে তাদের পরমাণু অস্ত্র উন্নয়নের কাজে অগ্রগতি অর্জন করেছে, তা ওয়াশিংটন ও সিউল উভয়ের জন্যই মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পিয়ংইয়ং তাদের কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র উন্নয়নের কাজে অনেকখানি অগ্রগতি অর্জন করেছে। যে অস্ত্র দিয়ে তারা দক্ষিণ কোরিয়ায় হামলা চালাতে সক্ষম হবে। যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে হামলা চালাতে সক্ষম দূরপাল্লার অস্ত্র পরিমার্জনের কাজেও এগিয়ে চলছে দেশটি।
মিত্র দেশ হিসেবে অতীতে হওয়া একটি চুক্তির অধীনে যুক্তরাষ্ট্র আগেই যে কোনো হামলার বিরুদ্ধে দক্ষিণ কোরিয়াকে সুরক্ষা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এজন্য যদি প্রয়োজন পড়ে তবে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের প্রতিশ্রুতিও ওয়াশিংটন আগেই দিয়ে রেখেছে।
কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার কেউ কেউ সেই প্রতিশ্রুতিতে সন্দেহ প্রকাশ করতে শুরু করেছে এবং দেশটিকে নিজস্ব পারমাণবিক কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের সুরক্ষা প্রতিশ্রুতি নিয়ে নিজের মধ্যে কোনো সন্দেহ নেই বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক-ইয়ল। রাষ্ট্রীয় সফরে বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন।
তিনি বলেন, ওয়াশিংটনের ঘোষণা প্রতিরক্ষা বৃদ্ধি, আক্রমণ প্রতিরোধ এবং পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে মিত্রদের রক্ষা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের একটি ‘অভূতপূর্ব’ প্রতিশ্রুতি হিসেবেই চিহ্নিত হবে।
দুই দেশের মধ্যে নতুন যে চুক্তিটি হয়েছে, সেটি দীর্ঘ কয়েক মাসের আলোচনার ফসল বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রশাসনের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা।
বিএস/