আন্তর্জাতিক ডেস্ক
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুই ডোজ টিকা দিতে হয়। আর এটিই সবচেয়ে কার্যকরি বলে বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে। তবে অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা দেয়ার চার সপ্তাহ পরে ফাইজারের টিকা দেয়া হলে করোনা প্রতিরোধে সেটি আরও বেশি কার্যকর হয়। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য।
'কম-কভ' নামে এই গবেষণা চালায় অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। যেখানে দেখা যায়, অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও ফাইজারের মিশ্রিত টিকা করোনা প্রতিরোধে বেশি কার্যকরী। এই মিশ্রণ অধিক পরিমাণে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সক্ষম।
ইউরোপিয়ান দেশগুলোতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রথম ডোজ দেয়ার পর রক্ত জমাট বাঁধার মতো ঘটনা ঘটেছে। যার ফলে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিকল্প হিসেবে ফাইজারের টিকা দেয়ার কথা বলছে দেশগুলো। আর এই নতুন গবেষণার ফলাফল ফাইজারের টিকা দেয়াকে ত্বরান্বিত করবে।
অক্সফোর্ডের এ গবেষণায় প্রধান গবেষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির অধ্যাপক ম্যাথু স্নাপ। তিনি বলেন, 'কম-কভ গবেষণায় ফাইজার-অ্যাস্ট্রাজেনেকার সংমিশ্রণ করোনা প্রতিরোধে বেশি কার্যকর বলে দেখা গেছে। এক টিকার পরিবর্তে অন্য টিকা দেয়ার সম্ভাব্য অনুমতি দেয় এই গবেষণা।'
এই গবেষক আরও বলেন, চার সপ্তাহের ব্যবধানে দুই টিকা দেয়া হলে এর সংমিশ্রণ অধিক অ্যান্টিবডি সৃষ্টি করে ও গ্রহীতার প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই সংমিশ্রণ নির্ধারিত সময়সীমার বেশি কাজ করে।
এই সংমিশ্রণ সবচেয়ে বেশি কাজ করে দুই টিকারই দুটি করে ডোজ নেয়ার পরে। এটি অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার থেকেও বেশি কার্যকর।
চার সপ্তাহের এই গবেষণায় ৮৩০ জন অংশগ্রহণ করে।
এদিকে যুক্তরাজ্য সরকারি কর্তৃপক্ষ ৪০ বছরের অধিক ব্যক্তিদের সংমিশ্রণ টিকা আট সপ্তাহের ব্যবধানে নেয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছে। আর যুবকদের ১২ সপ্তাহের মধ্যে নিতে পরামর্শ দিয়েছে।
ইংল্যান্ডের ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার জোনাথন ভ্যান-ট্যাম বলেন, কম-কভ গবেষণা সমীক্ষার ফলাফল সামনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
মামুন/সবুজ/এএমকে
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন