• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ০৭ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১

বিতর্কিত মন্তব্য করায় তোপের মুখে প্যারিসে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৫, ২০২৩, ০৪:৩৪ এএম

বিতর্কিত মন্তব্য করায় তোপের মুখে প্যারিসে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর স্বাধীনতা ও আইনি মর্যাদা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় তোপের মুখে পড়েছেন প্যারিসে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লু শায়ে। তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করতে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাথেরিন কোলোনাকে অনুরোধ করে চিঠি পাঠিয়েছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ৮০ জন সদস্য। লু শায়ের বক্তব্যের ব্যাখ্যা চাইতে ইউরোপের কয়েকটি দেশ চীনা রাষ্ট্রদূতদের তলব করেছে।

প্যারিসে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লু শায়ের বিতর্কিত মন্তব্যে ইউরোপীয় দেশগুলো ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে।

শুক্রবার রাতে ফ্রান্সের এলসিআই টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে লু শায়ে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত প্রজাতন্ত্রগুলোর কোনো আইনি ভিত্তি নেই বলে মন্তব্য করেন। ক্রিমিয়া সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

২০১৪ সালে জোরপূর্বক রাশিয়ার দখলে নেওয়া ক্রিমিয়া ইউক্রেনের অংশ কিনা, প্রশ্ন করলে লু শায়ে বলেন, এমনকি এইসব সাবেক সোভিয়েত দেশগুলোরও আন্তর্জাতিক আইনে কোনো ভিত্তি নেই। কেননা সার্বভৌম দেশ হিসেবে তাদের মর্যাদা বলবৎ করতে কোনো আন্তর্জাতিক চুক্তি হয়নি। আর ক্রিমিয়ার প্রশ্নটি দৃষ্টিভঙ্গি ও অবস্থানের ওপর নির্ভর করে। শুরুতে ক্রিমিয়া রাশিয়ার অংশ ছিল। সোভিয়েত আমলে নিকিতা ক্রুশ্চেভ ক্রিমিয়াকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্ত করার প্রস্তাব দেন।

চীনা রাষ্ট্রদূতের এ মন্তব্য পূর্ব ইউরোপ ও বাল্টিক অঞ্চলের এক ডজনের বেশি দেশের অস্তিত্বকে খারিজ করে দেওয়ার শামিল। এমনকি তার কথা সত্য বলে ধরে নিলে রাশিয়ারও আইনি ভিত্তি থাকে না। কেননা ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিলুপ্তির পর এসব দেশ স্বাধীন প্রজাতন্ত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে পরস্পরকে স্বীকৃতি দিয়েছিল এবং জাতিসংঘের সদস্যপদ গ্রহণ করেছিল।

রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুতে চীন যখন নিজেকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছে ঠিক সে সময় ইউক্রেনের মতো সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রগুলোর স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে চীনা রাষ্ট্রদূত এভাবে প্রশ্ন তোলায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ হয়েছে ইউরোপের দেশগুলো।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) শীর্ষ কূটনীতিক জোসেপ বোরেল বলেছেন, চীনা রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। ইইউ কেবল এটাই ধরে নিতে পারে যে, এসব বক্তব্য চীনের আনুষ্ঠানিক নীতির প্রকাশ নয়।

আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ