• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

ম্যারাথনে ৪২কিলোমিটার দৌড় দিলেন ভারতীয় নারী মধুস্মিতা

প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০২৩, ০৫:১৪ পিএম

ম্যারাথনে ৪২কিলোমিটার দৌড় দিলেন ভারতীয় নারী মধুস্মিতা

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ম্যারাথনে অংশ নিতে সাধারণত আরামদায়ক ও হালকা পোশাক পরেন প্রতিযোগীরা, যাতে লম্বা সময় স্বাচ্ছন্দ্যে দৌড়াতে পারেন। তাই শাড়ি পরে ম্যারাথনে অংশ নেওয়ার কথা শুনে অবাক হতে হয় বৈকি। সবাইকে অবাক করে দেওয়ার মতো এমন কাণ্ডই ঘটিয়েছেন মধুস্মিতা জেনা দাস নামের ৪১ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক ব্রিটিশ নারী। তিনি যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারে আয়োজিত এক ম্যারাথনে ৪২ কিলোমিটার দৌড়েছেন ভারতের ওডিশার ঐতিহ্যবাহী সাম্বলপুরি শাড়ি পরে। ভিনদেশের মাটিতে দেশের ঐতিহ্যকে তুলে ধরায় ভারতীয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।

মধুস্মিতা জেনা দাস ম্যারাথন শেষ করেন ৪ ঘণ্টা ৫০ মিনিটে। তাঁর পরনে ছিল লাল রঙের সাম্বলপুরি শাড়ি। শাড়িটি হস্তচালিত তাঁতে বোনা। তাঁর পায়ে ছিল কমলা রঙের স্নিকার।

টুইটারে ওই ম্যারাথনের ভিডিও প্রকাশ করে এক ব্যক্তি লিখেছেন, ম্যানচেস্টারে বসবাসকারী ওডিশার এক নারী যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম ম্যানচেস্টার ম্যারাথন ২০২৩-এ সাম্বলপুরি শাড়ি পরে দৌড়েছেন। বিষয়টি খুবই দারুণ। তাঁর স্পৃহার প্রতি ভালোবাসা!

ফ্রেন্ডস অব ইন্ডিয়া সোসাইটি ইন্টারন্যাশনাল ইউকের টুইটার অ্যাকাউন্টেও ম্যারাথনের ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, শাড়ি পরে স্বচ্ছন্দে দৌড়াচ্ছেন মধুস্মিতা। বন্ধু ও পরিবারের সদস্যরা চিৎকার করে তাঁকে উৎসাহ দিচ্ছেন।

টুইটার পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারে বসবাসকারী ভারতীয় নারী মধুস্মিতা জেনা প্রিয় সাম্বলপুরি শাড়ি পরে ম্যানচেস্টার ম্যারাথন ২০২৩-এ সহজেই দৌড়েছেন। গর্বের সঙ্গে তিনি ভারতীয় ঐতিহ্যকে তুলে ধরেছেন। ভারতীয় পোশাকের প্রতি আমন্ত্রণমূলক প্রকাশভঙ্গিও ছিল তাঁর।’

উল্লেখ্য, মধুস্মিতা বিশ্বজুড়ে অনেক ম্যারাথনে দৌড়েছেন। তবে শেষ এ প্রতিযোগিতায় ওডিশার ঐতিহ্য তুলে ধরেছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের অনেকে বলেছেন, শাড়ি পরে দৌড়ানো সব সময়ই কঠিন কাজ।

একটি টুইটার পোস্টের মন্তব্যের ঘরে এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘দারুণ, আশা করি আমরা ইউএস ওপেনেও পাট্টা শাড়ি পরে কাউকে দৌড়াতে দেখব। কোনো একদিন তসর সিল্ক শাড়ি পরেও মানুষ ট্রায়াথলন প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে।’

‘গর্বিত হওয়ার মতো মুহূর্ত...চালিয়ে যান।’—এভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আরেকজন।

অপর একজন লিখেছেন, ‘কী চমৎকার একটি ছবি দেখতে পেলাম। এভাবে আমরা বিশ্বে আমাদের সংস্কৃতিকে তুলে ধরব। যাঁরা বিদেশি পোশাক পরার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকেন, তাঁরা এখান থেকে শিক্ষা নিতে পারেন।’

আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ