• ঢাকা বুধবার
    ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১

ইন্দোনেশিয়ার অশান্ত পাপুয়ায় হামলায় ৬ সেনা নিহত

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২৩, ০৬:০৮ পিএম

ইন্দোনেশিয়ার অশান্ত পাপুয়ায় হামলায় ৬ সেনা নিহত

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়ায় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা নিউজিল্যান্ডের এক পাইলটকে গত ফেব্রুয়ারিতে অপহরণ করে। ইন্দোনেশিয়ার সেনাবাহিনী ওই পাইলটকে উদ্ধারের জন্য সেনা মোতায়েন করে। তাদের মধ্যে ৬ জন নিহত হয় বিদ্রোহীদের হামলায়। এছাড়া নিখোঁজ হয়েছেন ৩০ জন। সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান।

ইন্দোনেশিয়ার সামরিক বাহিনী এক প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পাপুয়ার পার্বত্য জেলা নাদুগার একটি সেনা পোস্টে ৩৬ জন সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। ফ্রি পাপুয়া মুভমেন্টের সশস্ত্র শাখা ওয়েস্ট পাপুয়া লিবারেশন আর্মির সদস্যরা এই হামলা চালিয়েছে।

সাংবাদিকদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই হামলায় অন্তত ৬ জন সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। কমপক্ষে ২১ জন জঙ্গলে পালিয়ে যায় এবং বাকি ৯ জনকে বিদ্রোহীরা জিম্মি করে। তবে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র স্বীকার করেছেন, মাত্র একজন নিহত হয়েছেন।
 
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল হারমান তারিয়ামান জানান, নিউজিল্যান্ডের অপহৃত পাইলট ফিলিপ মার্ক মার্টেনসের অনুসন্ধান দলের অংশ ছিলেন ওই সেনারা। মার্ক ইন্দোনেশিয়ার একটি বিমান সংস্থা সুসি এয়ারে কাজ করতেন। ফেব্রুয়ারিতে বিদ্রোহীরা তাকে সেখান থেকে অপহরণ করে।

কর্নেল তারিয়ামান আরও জানান, কর্তৃপক্ষ নিখোঁজ ৩০ সেনার সন্ধান অব্যাহত রেখেছে। মাত্র একদিন আগে গত শনিবার (১৫ এপ্রিল) ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়ায় ৯ সেনা সদস্যকে হত্যার দায় স্বীকার করে স্থানীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহীরা।

রোববার (১৬ এপ্রিল) বিদ্রোহী গোষ্ঠীর একজন মুখপাত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ইন্দোনেশিয়ার সামরিক বাহিনী হামলার কথা স্বীকার করলেও হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। পশ্চিম পাপুয়া ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিপিএনপিবি) এই হামলার সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের পাইলট মার্ককে অপহরণ করে জঙ্গিরা। এ সময় তারা জাকার্তা থেকে দাবি জানায়, তাদের স্বাধীনতা দিতে হবে। কিন্তু এখন দলটি তাদের স্বাধীনতার দাবি পরিত্যাগ করে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছে।

টিপিএনপিবির মুখপাত্র সেবি সাম্বাম এক রেকর্ড করা বার্তায় বলেন, ‍‍`আমরা ইন্দোনেশিয়া ও নিউজিল্যান্ড সরকারকে বলেছি যে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে বন্দীকে মুক্তি দেওয়া যেতে পারে। যদিও আমরা শান্তিপূর্ণ আলোচনা চেয়েছিলাম, কিন্তু ২৩ শে মার্চ ইন্দোনেশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ আমাদের বেসামরিক নাগরিকদের উপর হামলা চালায়। এই কারণে, টিপিএনপিবি সেনারা প্রতিশোধ নিতে প্রস্তুত এবং ইতোমধ্যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।‍‍`

আর্কাইভ