প্রকাশিত: এপ্রিল ২, ২০২৩, ০৬:৩২ পিএম
আমেরিকার হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে নতুন করে অন্তত ৫০টি টর্নেডো সর্বশক্তি নিয়ে ধেয়ে এসেছে শহরের দিকে। আরকানসাস, আলবামা, ইন্ডিয়ানার মতো অন্তত সাতটি প্রদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিধ্বংসী টর্নেডোয় লণ্ডভণ্ড আমেরিকার একাধিক শহর। দু’দিনেই মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২২-এ। আরও মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। আরকানসাস, আলবামা, মিসিসিপি প্রভৃতি শহরগুলি ঝড়ের তাণ্ডবে তছনছ হয়ে গিয়েছে। একাধিক বাড়ি ভেঙে পড়েছে। বহু মানুষ এখনো নিখোঁজ।
শুক্রবার নতুন করে টর্নেডোর দাপটে ধাক্কা খায় দক্ষিণ এবং পশ্চিম-মধ্য আমেরিকা। শনিবারও সারাদিন ঝড়বৃষ্টি চলেছে। প্রশাসনের তরফে একাধিক এলাকায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
আমেরিকার আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে নতুন করে অন্তত ৫০টি টর্নেডো সর্বশক্তি নিয়ে ধেয়ে এসেছে শহরের দিকে। আরকানসাস, আলবামা, ইন্ডিয়ানার মতো অন্তত সাতটি প্রদেশ টর্নেডোতে ক্ষতিগ্রস্ত। মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই ভেঙে পড়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঝড়ের দাপটে খড়কুটোর মতো ভেঙে পড়েছে বহু আবাসন। হেলিকপ্টার থেকে তোলা ছবিতে দেখা গিয়েছে, কীভাবে তছনছ হয়ে রয়েছে একের পর এক শহর।
এর আগে গত সপ্তাহেও একই রকম টর্নেডোয় কাবু হয়েছিল আমেরিকা। সেই ঝড়ের দাপটে মারা গিয়েছিলেন ২৬ জন। আহত হয়েছিলেন আরও বেশি সংখ্যক মানুষ। এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই ফের বিধ্বংসী রূপে টর্নেডো লণ্ডভণ্ড করল আমেরিকার শহরগুলিকে। স্থানীয় হাওয়া অফিস সূত্রে জানানো হয়েছে, টর্নেডোর প্রভাবে ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৭০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার।
টর্নেডোর কারণে আমেরিকায় বিদ্যুৎ পরিষেবাও ব্যাহত হয়েছে। অন্তত ৩৪ হাজার পরিবার বিদ্যুৎহীন ভাবে দিন কাটাচ্ছেন। ঝড়ে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গিয়েছে। ফলে পরিষেবা কখন স্বাভাবিক করা যাবে, তা অনিশ্চিত।
এএল/