প্রকাশিত: মার্চ ৩১, ২০২৩, ১১:২৩ পিএম
নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরের একজন স্পার্ম ডোনার প্রায় ৫৫০ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তিনিই এবার আইনি মামলার মুখে। দেশের নিয়ম ভাঙার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এ বার দায়ের করা হল মামলা।
টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, ক্লিনিকগুলিকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভুল পথে চালিত করার অভিযোগের পাশাপাশি তার ঔরসজাত সন্তানদের মানসিক স্বাস্থ্য প্রভাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। বছর ৪১ এর জনাথন জ্যাকব মেইজার অন্তত ১৩ টি ক্লিনিকে তার শুক্রাণু দান করেছিলেন, যার মধ্যে ১১টি নেদারল্যান্ডে অবস্থিত। পেশায় একজন সঙ্গীতশিল্পী মেইজার বর্তমানে কেনিয়াতে থাকেন। তার এক জৈবিক সন্তানের ডাচ মা জনাথনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। পাশাপাশি ২৫টি পরিবারের তরফে অভিযোগ এনেছে ডোনর কাইন্ড ফাউন্ডেশন।
ডাচ নির্দেশিকা অনুসারে, একজন স্পার্ম ডোনার ১২ জনের বেশি নারীকে শুক্রাণু দান করতে পারেন না এবং ২৫ জনের বেশি সন্তানের বাবা হতে পারবেন না। এই নিয়ম ধার্য করার অন্যতম কারণ মানসিক। ভবিষ্যতে যদি কোনোভাবে তারা জেনে যায় যে আরও শতাধিক ভাইবোন আছে তাদের, তাহলে মানসিক দিক থেকে তারা বিধ্বস্ত হয়ে পড়তে পারে। ডোনারকাইন্ড ফাউন্ডেশন জোনাথন জ্যাকব মেইজারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে যাতে তাকে আরও শুক্রাণু দান করা থেকে বিরত রাখা যায়।
দ্য টেলিগ্রাফ অনুসারে, এই সংস্থা সেই ক্লিনিকগুলি সম্পর্কেও জানতে চেয়েছে যেখানে তিনি এখন স্পার্ম পর্যন্ত দান করেছেন। যদি তার দান করা সমস্ত শুক্রাণু মায়েদের জন্য সংরক্ষিত না করা হয় তবে তা নষ্ট করে দেবার কথাও বলা হয়েছে। ডোনারকাইন্ড ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান টাইস ভ্যান ডার মীর সংবাদপত্রকে বলেছেন- সরকার কিছুই করছে না বলে আমরা এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি তিনি বড় আন্তর্জাতিক স্পার্ম ব্যাংকের সাথে ব্যবসা করেন। মেইজারকে নেদারল্যান্ডসে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে কিন্তু তিনি এখনও ইউক্রেন এবং ডেনমার্ক সহ অন্যান্য দেশে শুক্রাণু দান করে চলেছেন। ফাউন্ডেশন অভিযোগ করেছে যে দাতা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আবেদনকারীর বাসায় গিয়ে গর্ভধারণে সাহায্য করেছেন এবং তার কার্যক্রম বন্ধ করেননি।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগকারী ডাচ তরুণী ইভা বলেছেন যদি তিনি জানতেন জনাথন ইতিমধ্যে কয়েকশো সন্তানের জন্মদাতা, তাহলে কখনওই ডোনর হিসেবে তাকে বাছতেন না।
সূত্র : এনডিটিভি
এএল