• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ০৭ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১

স্কটল্যান্ডের মুসলিম প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে পাকিস্তানি মামা বললেন…

প্রকাশিত: মার্চ ৩১, ২০২৩, ০৭:০৯ পিএম

স্কটল্যান্ডের মুসলিম প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে পাকিস্তানি মামা বললেন…

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

স্কটল্যান্ডের পার্লামেন্টে প্রথম মুসলিম প্রধানমন্ত্রী হামজা ইউসুফ। ৩৭ বছর বয়সি এ মুসলিম স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) তরুণ নেতা। তার বিষয়ে এবার কথা বলেছেন পাকিস্তানে বসবাস করা ইউসুফের মামা মনজুর হোসেন। 

মনজুর হোসেন পাকিস্তানের উত্তর-পূর্ব পাঞ্জাব প্রদেশের ছোট মিয়া চান্নু শহরে বসবাস করেন। তিনি যখন স্কুলের কাজ করছিলেন, তখন তিনি শোনেন তার ভাগ্নে স্কটল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।

তিনি বলেন, সে খুবই মজার মানুষ। সে সহজে মানুষের সঙ্গে মিশতে পারে এবং একজন নিপাট ভদ্রলোক।

তিনি আরও বলেন, এটি আমাদের জন্য খুব বিস্ময়কর ছিল।

হুসেন বলেন, আমরা এত দিন এ খবরটি আশা করছিলাম। আমরা জানতাম যে, এটি সময়ের ব্যাপার, ইউসুফের জোরালো আত্মবিশ্বাস এবং স্কটল্যান্ডের রাজনীতিতে তার উন্নয়ন  এ পদ বিবেচনা করে।

তিনি বলেন, আমার স্ত্রী বর্তমানে এডিনবার্গে আছেন। টেলিফোনে আমাকে জানিয়েছিলেন যে, ইউসুফ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন (এসএনপি নেতা হিসেবে)। এটা আমার জন্য উত্তেজনাপূর্ণ খবর ছিল; কিন্তু মোটেও আশ্চর্যজনক নয়। 

২০১১ সালে তিনি প্রথমবার দেশটির এমপি নির্বাচিত হন। সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি ইংরেজি ও উর্দুতে শপথ নেন।

স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে জন্ম নেন হামজা ইউসুফ। ১৯৬০ সালে তার দাদা-দাদি পাকিস্তান থেকে ব্রিটেনে পাড়ি জমান।
 
হামজা বলেন, এখানে নেতৃত্ব দিতে গায়ের রঙ, ধর্ম-বর্ণ এসব কোনো বাধাই না। দেশের প্রতি আপনার বিশ্বাস ও ভালোবাসা থাকলেই আপনি একজন আদর্শ নেতা হতে পারবেন।

হামজা ইউসুফের জন্ম স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে। পড়ালেখা করেছেন গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ে। রাজনীতি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেছেন তিনি। এর পর ২০১১ সালে স্কটল্যান্ড পার্লামেন্টের সদস্য (এমএসপি) নির্বাচিত হওয়ার আগে তিনি একজন এমএসপির সহযোগী হিসেবেও কাজ করেছেন।

ইউসুফের বাবা পাকিস্তানের নাগরিক। ১৯৬০-এর দশকে তিনি স্কটল্যান্ডে পাড়ি জমান। অন্যদিকে তার মা কেনিয়াতে দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত একটি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। 

ইউসুফ বর্তমানে তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে সংসার করছেন। তাদের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। এ ছাড়া একজন সৎকন্যাও রয়েছে নতুন এই দলনেতার।

ইউসুফ মনে করেন, স্বাধীন স্কটল্যান্ডে রাজতন্ত্রের অবসান ঘটানোর দিকে নজর দেয়া উচিত। এ বিষয়ে তিনি গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন- আসুন, প্রথম ৫ বছরের মধ্যেই আমরা বিবেচনা করি, আমাদের রাজতন্ত্রের চেয়ে একজন নির্বাচিত রাষ্ট্রপ্রধান হওয়া যৌক্তিক কিনা।

২০১২ সালে স্কটিশ সরকারের একজন জুনিয়র মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন ইউসুফ। সেই সময়ে স্কটল্যান্ডে নিযুক্ত হওয়া সর্বকনিষ্ঠ এবং প্রথম জাতিগত সংখ্যালঘু মুসলিম মন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। এর পর ২০১৮ সালে বিচারবিষয়ক সচিব (সেক্রেটারি ফর জাস্টিস) হয়ে মন্ত্রিসভায় যোগ দেন এবং ২০২১ সালের মে মাসে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদে নিযুক্ত হন।

 

এএল/

আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ