• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

রমজানে মুসল্লিতে মুখরিত আবুধাবির জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদ

প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২৩, ০৬:২৪ পিএম

রমজানে মুসল্লিতে মুখরিত আবুধাবির জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবির অন্যতম আকর্ষণ শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদ। প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ আবুধাবিতে যান এই মসজিদটি দেখতে। বৃহত্তম হাতে বোনা কার্পেট, বৃহত্তম ঝাড়বাতি এবং বৃহত্তম গম্বুজের গিনেস বিশ্ব রেকর্ড রয়েছে এই মসজিদের।

খালিজ টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদ আরব-আমিরাতের সবচেয়ে বড় মসজিদ। বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম ও সুন্দরতম মসজিদের রেকর্ডেও নাম লিখিয়েছে এটি। তাই সারা বিশ্বের পর্যটকদের কাছে মসজিদটি দর্শনীয় স্হানও বটে। মসজিদের ভেতর-বাইরে একত্রে নামাজ পড়তে পারেন ৪০ হাজার মানুষ। কিন্তু জুমা ও ঈদে তা দেড় থেকে দুই লাখ ছাড়িয়ে যায়।

১৯৭১ সালে স্বাধীন হওয়া সংযুক্ত আরব আমিরাত এখন ছোট বড় নানা স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শনের দেশ। তাদের হাতে গড়া প্রতিটি স্থাপনাই চোখ জুড়িয়ে দেয়। তার মধ্যে অন্যতম এই গ্র্যান্ড মসজিদ। মুসলিম ধর্মালম্বী তো বটেই, মসজিদটি দেখতে প্রতিদিন ভিড় জমান নানা ধর্ম-বর্ণের হাজার হাজার মানুষ।

মসজিদটিতে রয়েছে শ্বেত মার্বেল দিয়ে মোড়ানো ছোটবড় ৮২টি গম্বুজ। মসজিদের সর্ববৃহৎ গম্বুজের উচ্চতা ২৭৯ ফুট। নামাজ পড়ার জায়গায় রয়েছে ইরানের বিখ্যাত শিল্পী আলী খালিদির ডিজাইনে তৈরি করা বিশ্বের বৃহত্তম গালিচা। এই কার্পেটের ওজন ৩৫ মেট্রিক টন, যা তৈরি করতে সময় লেগেছে ২ বছরেরও বেশি। রয়েছে স্ফটিক স্বচ্ছ লাখ লাখ পাথরের তৈরি পৃথিবীর বৃহত্তম ঝাড়বাতি।

মসজিদের আঙিনা তৈরি হয়েছে ১৭ হাজার বর্গমিটার মার্বেল মোজাইক দিয়ে যা বিশ্বের সর্ববৃহৎ আয়তনের মার্বেল মোজাইক। যার খোপে খোপে রয়েছে রং-বেরঙের ফুলের বাগান ও পানির ফোয়ারা। যা দেখে মুগ্ধ হন পর্যটকরা।

৩৮টি প্রখ্যাত ঠিকাদারি কোম্পানির ৩ হাজার দক্ষ নির্মাণকর্মীসহ বিভিন্ন দেশের কাঁচামালে নির্মাণ হয় এই মসজিদ। এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৫৪ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার।

 

 

এএল/

আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ