• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ঝড়ের কারণে ঝুঁকিতে বিশ্ব অর্থনীতি -ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা

প্রকাশিত: মার্চ ২৭, ২০২৩, ০৭:০২ পিএম

ঝড়ের কারণে ঝুঁকিতে বিশ্ব অর্থনীতি -ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকিং খাতে সম্প্রতি যে ঝড় উঠেছে তার কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক স্থিতাবস্থা টালমাটাল হয়ে উঠতে পারে। এমনটাই আশঙ্কা করছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ-এর প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। 

তিনি বলেন, সুদের হার বৃদ্ধি করার কারণে ঋণগ্রহীতাদের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে প্রধান অর্থনীতিগুলো নতুন সংকটে পড়ছে। এমনকি যারা ঋণ দিচ্ছে, তারাও এই সংকটের বাইরে নয়। -খবর দিয়েছে বৃটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।

খবরে জানানো হয়, বর্তমানে চীন সফরে রয়েছেন আইএমএফ প্রধান। রাজধানী বেইজিংয়ে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন জর্জিয়েভা। তিনি আরও বলেন, এই বছর বিশ্ব অর্থনীতি মাত্র ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। কোভিড-১৯ এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এর অন্যতম প্রধান কারণ। এসব কারণে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি সংকুচিত হয়ে আসছে।

সম্প্রতি পরপর যুক্তরাষ্ট্রের দুটি ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন আইএমএফ প্রধান। তিনি বলেন, সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের পতন এবং ক্রেডিট সুইস ব্যাংকের বিক্রি হয়ে যাওয়া অবশ্যই অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাকে আরও হুমকিতে ফেলেছে। ঋণের মাত্রা এখন বিশ্বজুড়ে বেশ উচ্চ। এরমধ্যে মূদ্রাস্ফীতি ঠেকাতে অল্প সময়ের ব্যবধানে যেভাবে সুদের হার বৃদ্ধি করা হয়েছে তাতে বহু দেশ সংকটের মুখে পড়েছে। এমনকি উন্নত অর্থনীতিগুলোও এর প্রভাব থেকে বাঁচতে পাড়ছে না, যার উদাহরণ হচ্ছে ব্যাংকিং খাতের এই বিপদ।

এর আগে ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংকও (ইসিবি) জানিয়েছিল, ব্যাংকিং খাতের এই ঝড়ের প্রভাবে বিশ্বে ব্যবসা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেড়িয়ে আসার পর সংকট বেড়েছে বৃটেনেও। দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও থমকে গেছে এবং সেখানে মূলস্ফীতি প্রকট আকার ধারণ করেছে। এমন অবস্থায় সুদের হার বৃদ্ধি নিয়ে উভয় সংকটে পড়েছে দেশটি।

বৃটেনের ‘অফিস ফর বাজেট রেসপনসিবলিটি’র প্রধান রিচার্ড হিউজ বলেন, ব্রেক্সিটের কারণে বৃটেনের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। মহামারিতে যে ক্ষতি হয়েছে, ব্রেক্সিটের ক্ষতি তাকেও ছাড়িয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে থাকার সময় আমাদের যে আউটপুট ছিল তা এখন ৪ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে।

 

এএল/

আর্কাইভ